Pakistan Election: স্বচ্ছতা তলানিতে! এমন কারচুপি ২০১৩ সালের পর থেকে আর হয়নি, পাকিস্তানের ভোট নিয়ে বিস্ফোরক Report

সদ্যই পাকিস্তানের ভোটপর্ব মিটেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। আর সেই পাকিস্তানের ভোট নিয়ে এবার বিস্ফোরক রিপোর্ট দিল পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ লেজিসলেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি( PILDAT) নামে পাকিস্তানের ওই সংস্থা একটি রিপোর্টকে সামনে এনেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোট হয়েছিল। আর সেই ভোটে সবথেকে বেশি স্বচ্ছতার অভাব ছিল। ২০১৩ সাল থেকে এ যাবৎ যে পরিসংখ্যান রয়েছে সেই হিসাব দেখলে বোঝা যাচ্ছে এবছরই সবথেকে বেশি কারচুপি হয়েছে পাকিস্তানের ভোটে। ডন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে তেমনটাই দেখা গিয়েছে। 

পাকিস্তানের ২০২৪ সালের ভোট কেমন হয়েছে তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল PILDAT। সেই সমীক্ষাতেই বিস্ফোরক তথ্য় উঠে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, সেনা আধিকারিক, যুবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। একটি প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেই সমীক্ষার রিপোর্টে যেটা দেখা যাচ্ছে সেটা একেবারে ভয়াবহ। মূলত ভোটের তিনটি পর্যায়ের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। মানে ভোটের আগে পর্যায়, ভোটের দিনের বিষয়টি ও ভোট পরবর্তী প্রক্রিয়া এই তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। 

সেখানে একাধিক ইস্যুকে ঘিরে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। মানে রাজনৈতিকভাবে অবদমন করা শুরু হয়, ভোটের দিন মোবাইল ও নেট ব্যবস্থাকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়েও দেরি করা হয় সহ নানা ক্ষেত্রে নানা ধরনের অসংগতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অসংগতিকে ঘিরেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সমীক্ষায়। 

মূলত পাকিস্তানের ভোটে এবার নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। ভোটে নিরপেক্ষতা একটা বড় ব্যাপার। আর সেটাই ছিল না পাকিস্তানের ভোটে। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। 

পাকিস্তানের ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে বার বারই প্রশ্ন ওঠে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তানের ভোট নিয়ে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এবার পাকিস্তানের ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে ফের নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল।