Partha-Arpita Relations: সম্পর্কের গভীরতা কতটা? পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠল আদালতে

কতটা গভীর ছিল পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক? এই প্রশ্নটা নিয়ে এতদিন ধরে চায়ের ঠেক থেকে বাড়ির অন্দরমহল সর্বত্রই নানা আলোচনা হয়েছে এনিয়ে। তবে এবার সেই প্রশ্নই উঠল আদালতকক্ষেও। 

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। তারই বান্ধবী বলেই পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। তার ফ্ল্যাট থেকেই মিলেছিল কোটি কোটি টাকা। কোথা থেকে এল এই টাকা?

তার কোনও ব্যাখা মেলেনি। অর্পিতা নিজেও ওই টাকার মালিকানা দাবি করেননি। সেই রহস্যের সমাধান হয়নি এখনও। 

এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন তাঁরই আইনজীবী। এবার মূলত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাবতীয় সংসর্গ এড়াতে তৎপর পার্থ। তিনি জানিয়েছেন, যার কাছে টাকা তিনি যদি অস্বীকার করেন তাহলে আমার কী করার আছে? অর্পিতা বাচ্চা দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। তার খারাপ মানসিকতা কীভাবে জানব? একটা খামে আমার নাম লেখা ছিল সেটাই দুর্নীতির প্রমাণ, এটা কীভাবে সম্ভব? যদি সব স্বীকারও করা হয়, তার মানেও এটা নয় যে যাবতীয় জিনিসের মালিক আমি। সেই সঙ্গেই পার্থর আইনজীবী জানিয়েছেন, জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মামা কোনও স্কুল করে থাকলে সেটা কী আমার দোষ? মামা বলেছেন জামাইকে বলতে শুনেছেন যাবতীয় টাকা পার্থ দিয়েছে। সেটা কি প্রমাণ হতে পারে?

এদিকে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, যারা অভিযুক্ত তাদের মধ্য়ে কে এত টাকার যোগান দিতে পারে? পার্থর আইনজীবী জানিয়েছেন, আমার কোনও ধারণা নেই। সেই সঙ্গেই পার্থ আর অর্পিতার সম্পর্কের গভীরতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে এদিন। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছিল এতদিন। তবে এবার আদালতের মধ্য়েও সেই প্রশ্ন উঠল।

তবে জামিন মেলেনি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। সেই সঙ্গেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও সাধারণ সম্পর্ক নয় এ থেকে স্পষ্ট। আপনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তাছাড়াও আপনি প্রভাবশালী। অনেকে আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিলেন। 

এদিকে এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, শিক্ষা এমন একটা জায়গা যা সমাজ তৈরি করে। একজন চিকিৎসক কোনও একটা ভুল করলে একজন রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছে তাতে সমাজ কোনদিকে যাবে তার ঠিক নেই ভবিষ্যতে। পরিস্থিতি কখনও মিথ্য়ে কথা বলে না। বর্তমান ছবিই সেই পরিস্থিতিকে দেখাচ্ছে।

কিন্তু কীভাবে গোটা প্রক্রিয়াকে চালানো হত? সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, কাকে নিয়োগ করা হবে আর কাকে বাদ দেওয়া হবে গোটাটাই ছিল পরিকল্পনা। যারা সঙ্গ দিতেন না তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত। বাড়িতে বৈঠক করে পদত্যাগ পর্যন্ত করানো হয়েছিল। দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। অপরাধ এমনভাবে করতেন যাতে তিনি পিকচারে না থাকেন।