Sheikh Shahjahan: শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল CID, গাড়িতে মাথা নীচু করে সন্দেশখালির ‘বাঘ’

অবশেষে সিবিআই শেখ শাহজাহানকে হাতে পেল। সিবিআই ভবানী ভবন থেকে শেখ শাহজাহানকে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। তার আগে ভবানী ভবনের পেছনের দরজা দিয়ে শেখ শাহজাহানকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। রুটিন পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার আগে এই ধরনের মেডিক্য়াল পরীক্ষা করা হয়। 

এদিকে বুধবার ভবানী ভবন থেকে বের করার সময় শেখ শাহজাহান একেবারে মাথা নীচু করে বসেছিলেন সিবিআইয়ের গাড়িতে। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন তিনি। এদিকে শাহজাহানকে একেবারে বাঘ বলে অভিহিত করতেন তৃণমূলের নেতারা। কিন্তু এদিন সেই বাঘের হালুম ডাক তো দূরের কথা একেবারে মাথা নীচু করে গাড়িতে বসেছিলেন তিনি। 

সূত্রের খবর, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে বার বার ধাক্কা খাওয়ার পরে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি রাজ্য। কার্যত বাধ্য হয়েই এদিন শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয় সিআইডি। 

এদিকে গত দুদিন ধরেই নানা টানাপোড়েন চলছিল শেখ শাহজাহানকে কেন্দ্র করে। হাইকোর্ট কার্যত তুলোধোনা করেছিল রাজ্য পুলিশকে। তারপরেও হুঁশ ফিরছিল না পুলিশের। কিন্তু অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে শেখ শাহজাহানকে তুলে দিতে বাধ্য় হয় সিআইডি।

সূত্রের খবর তাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জোকা ইএসআই হাসপাতালে প্রথম নিয়ে গিয়ে তারপর তাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। 

এদিকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছিলেন, আজ বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটের মধ্যে সিবিআই-এর হাতে শাহজাহানকে তুলে দিতে হবে সিআইডি-কে। কিন্তু সেটা হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।

তবে এদিন কলকাতা হাই কোর্টে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। এই আবহে তাঁর এজলাসে থাকা শাহজাহান মামলার শুনানি হয় জাস্টিস হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। এই আবহে হরিশ ট্যান্ডন জানান, প্রধান বিচারপতির রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও রাজ্যের যুক্তি ছিল, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে তারা স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন, তাই আজকেই যেন শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া না হয়। তবে রাজ্যের সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি।

শেষ পর্যন্ত সব টালবাহানার অবসান। শেখ শাহজাহানকে পেল সিবিআই। এবার আজ তাকে জেরা করা হবে কি না সেটাই দেখার।