Electrocution death: ডিভিসির সাবস্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আদিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুতে ২০ ঘণ্টা দেহ রেখে বিক্ষোভ

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। প্রায় ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাল ক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনাটি কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এলাকার। এই এলাকার অন্তর্গত ডিভিসির কল্যাণেশ্বরী সাবস্টেশনের সামনে মৃত শ্রমিকের দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাদের মূল দাবি হল ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুক্রবার সকালেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।

আরও পড়ুন: বাড়ি তৈরির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ রাজমিস্ত্রির, দেহ আটকে বিক্ষোভ

জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকের নাম সাহেবলাল মুর্মু। তিনি একজন আদিবাসী। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। আসানসোলের  ডিভিসির কল্যাণেশ্বরী সাবস্টেশনে বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করার সময় তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এরফলে গুরুত্বর আহত হয়েছিলেন সহেবলাল। ঘটনায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়েছিল দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দেহ তুলে দেওয়া হয় সহেবলালের পরিবারে হাতে। কিন্তু, অভিযোগ, সাহেবলালের মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি ডিভিসি। এরপরই ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাহেবলালের দেহ  ডিভিসির কল্যাণেশ্বরী সাবস্টেশনের গেটের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিবাবের সদস্য ও স্থানীয়রা। 

তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মৃতদেহ রেখে প্রায় ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ধামসা-মাদল নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে, সাহেবলালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর পরিবারে। মৃত্যুর পরেও কর্তৃপক্ষ তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, সাহেবলাল ডিভিসির একজন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি স্থায়ী চাকরির দাবি জানিয়ে ধর্নায় বসেন স্থানীয়রা। এছাড়াও  কল্যানেশ্বরী দেন্দুয়া প্রধান রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে পথ অবরোধও করেন। শুক্রবারও তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে বলে জানা গিয়েছে। তাদের স্পষ্ট দাবি, এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পেলে তারা বিক্ষোভ থেকে পিছু হটবেন না। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।