India AI Mission to get ₹10372 cr: AI-তেও ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’, অনুমোদন ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’-এ, বরাদ্দ ১০,৩৭২ কোটি টাকা

আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-র জোর দিতে ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’-এ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যে প্রকল্পের জন্য পাঁচ বছরে মোট ১০,৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। পিপিপি মডেলে (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল) ভারতে ‘আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে সেই অর্থ ব্যবহার করবে সরকার। যা ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-ভিত্তিক প্রযুক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন, ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’-র ফলে স্টার্ট-আপ, পড়ুয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

একইসুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছেন যে ‘বিশ্বগুরু’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-র স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। ইন্ডিয়া এআই মিশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার ফলে ভারতের আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স স্টার্ট-আপের ক্ষমতায়ন হবে। কম্পিউটিং পরিকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে ওঠার জন্য আমরা যে পথ হাঁটতে শুরু করেছে ভারত, সেটার দিকে একটা বড় লাফ হতে চলেছে।’

আরও পড়ুন: Rahul trolled for his answer on AI: AI নিয়ে রাহুলকে প্রশ্ন তরুণের, উত্তর শুনে ট্রোল নেটপাড়ার, ‘না জেনেই রচনা লিখল’

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’-র অধীনে যে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-ভিত্তিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে, সেটা ব্যবহারের সুযোগ পাবে বিভিন্ন স্টার্ট-আপ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পমহল। লাভবান হবেন পড়ুয়া, গবেষকরা। তৈরি করা হবে ‘ইন্ডিয়া এআই ইনোভেশন সেন্টার’। পুরো বিষয়টি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্পোরেশনের ইন্ডিয়া এআই ইন্ডিপেনডেন্ট বিজনেস ডিভিশনের আওতায় প্রণয়ন করা হবে। ওই বিজনেস ডিভিশনের আওতায় পুরো ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’-র স্বপ্নের জাল বোনা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: OpenAI launches Sora: ChatGPT-র পর ফের ধামাকা Open AI-র, শুধু লিখে দিলেই মনপসন্দ ভিডিয়ো তৈরি হবে চোখের নিমেষে

ওই মিশনের আওতায় একটি ‘ন্যাশনাল ডেটা ম্যানেজমেন্ট অফিস’ তৈরি করা হবে। যা ডেটার গুণগত মান বৃদ্ধি করে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-নির্ভর প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রণয়ন করতে বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ তৈরি করা হয়েছে, তা ত্রিস্তরীয় কম্পিউটিং পরিকাঠামো তৈরির সুপারিশ করেছে। তাতে মোট ২৪,৫০০ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট থাকবে। আপাতত আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-নির্ভর প্রযুক্তির জন্য যে কম্পিউটিং পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে, তাতে এগিয়ে আছে আমেরিকা এবং চিন। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের হাতে ১৬২টি সুপার কম্পিউটার আছে। আমেরিকার হাতে আছে ১২৭টি সুপার কম্পিউটার। সেখানে ভারতের হাতে আছে তিনটি।

আরও পড়ুন: AI to hit 40% jobs: বৈষম্য বাড়াবে AI, চাকরিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ৪০ শতাংশ মানুষের, সতর্ক করল IMF