আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, বলিউড গানের তুলোধনা। শ্রেয়া ঘোষাল ‘চিকনি চামেলি’ গানটি গাওয়ার পর বলেছিলেন, মহিলাদের বিষয়ে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে যে গান, সে গান তিনি আর গাইবেন না। পরবর্তীতে অনেক দুর্দান্ত মোটা অঙ্কের অফার পেলেও সে পথে হাঁটেননি শ্রেয়া। তবে, এমনই আরও অনেক গান অন্যান্য গায়িকাদের কণ্ঠে উপহার দিয়েছে বলিউড। সুপারহিটও হয়েছে ব্যাপকভাবে। তেমনই একটি গান হল, করিনা কাপুরের বিখ্যাত ‘ম্যায় তো তন্দুরি মুরগি হুঁ ইয়ার’। এবার নারী দিবসের প্রাক্কালে এই গানেরই বিরোধিতায় মাঠে নেমেছে সুইগি ও বোট।
এই গানের মাধ্যমে নারীদের খাবারের পদের সঙ্গে তুলনা করার পালটা জবাব দিয়েছে তারা। একসঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছে বিশেষ পোস্ট। সেখানে নারীদের খাবারের সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে তন্দুরি মুরগি আর মহিলা, কখনও এক হতে পারে না। দর্শকদের বোঝানোর ব্যবহার করা হয়েছে ছবি। যেটির একদিকে রয়েছে তন্দুরি মুরগির ছবি, তো অন্যদিকে হেডফোন পরে বসে থাকা একটি মহিলার কার্টুনের ছবি। ছবি দুটিই উপরে হাইলাইট করে লেখা রয়েছে গানটি। ব্র্যান্ডগুলি তাদের পৃথক ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে সামাজিক বার্তাটি তুলে ধরে লিখেছে- ‘কিছু আইটেম শুধুমাত্র মেনুতে ভালো দেখায়, আপনার প্লেলিস্টে নয়। আসুন #RightTheSong।’
- Swiggy এবং boAt এর পোস্ট এখানে দেখুন:
পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পর থেকেই, ৩,৩০০ টিরও বেশি লাইক পেয়েছে। পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যও শেয়ার করেছেন নেটিজেনরা।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা এই পোস্টে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ?
একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, নারীদের ছোট করার মতো গানের বিরুদ্ধে একটি ছোট কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’ কয়েকটি হাততালির ইমোটিকন সহ আরও একজন যোগ করেছেন, ‘এতদিন পর এইভাবে ভাবার জন্য ধন্যবাদ, সত্যি বলছি!’ তৃতীয় একজন বলেছেন এমনটাই। এই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীও হাততালির ইমোটিকন দিয়ে নিজের মন্তব্যটি সম্পূর্ণ করেছেন। আবার একজন বলেছেন, ‘এই গানটির মতো তো আরও অনেক গান রয়েছে। যেমন দ্বিতীয় গানটি হল জালেবি বেবি।’ ওদিকে অন্যজন সুইগি এবং বোটের এই ক্রিয়েটিভ এবং সামাজিক বার্তাটির বেশ প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘আজ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, এর থেকে ভালো কাজ আর হতেই পারে না। তোমাদের মতো করে কেউ ভাবেনি। তোমরা তো ফাটিয়ে দিয়েছো।’