Modi at Srinagar:শ্রীনগরে ‘বন্ধু’ নিজামের সঙ্গে সেলফি মোদীর! পুলওয়ামার ভূমিপুত্র এই কাশ্মীরি যুবক আসলে কে?

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর প্রথমবার ভূস্বর্গে পা রাখলেন মোদী। বৃহস্পতিবার সেখানে বক্সি স্টেডিয়ামে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীনগরের এই সভার পরই তিনি এক কাশ্মীরি যুবকের সঙ্গে তোলা সেলফি পোস্ট করেন তাঁর এক্স প্রোফাইলে। মোদী সেই পোস্টে লেখেন, ‘একটা স্মরণীয় সেলফি আমার বন্ধু নজিমের সঙ্গে।’ মনে হতেই পারে কাশ্মীরের এই যুবক আসলে কে? দেখে নেওয়া যাক নজমিরে পরিচিতি।

শ্রীনগরে বৃহস্পতি নরেন্দ্র মোদী ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রীনগরের বক্সি স্টেডিয়ামের সভায় আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান। সেখানেই হাজির ছিলেন কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে আসা নজিম। নজিম, মোদীর কাছে অনুরোধ করেন যাতে নজিমের সঙ্গে মোদী একটি সেলফি তোলেন। কাশ্মীরের ওই যুবকের অনুরোধ ফেলতে পারেননি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তারপরই নিজের হ্যান্ডেলে নজিমের সাথে তোলা ছবিটি পোস্ট করেন মোদী। নরেন্দ্র মোদী ওই পোস্টে লেখেন, ‘স্মরণীয় একটি সেলফি আমার বন্ধু নজিমের সঙ্গে। যে ভালো কাজ সে করছে আমি তাতে মুগ্ধ। একটি জনসভায় তিনি সেলফির জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে আমি খুশি। তাঁকে আগামীর জন্য অনেক শুভেচ্ছা।’

কে এই নজিম?

২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার গোটা দেশ ছিল শোকে মুহ্যমান। তারপরই পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে ভারত চালিয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২.০। সেই ঘটনা ঘিরে এককালে তপ্ত হয়েছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। সেই সমস্ত অধ্যায় কাটিয়ে এবার খবরে কাশ্মীরের পুলওয়ামার নজিম। মূলত কেন্দ্রের ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের উপভোক্তা নজিম। কাশ্মীরের মধু শিল্পের সঙ্গে তিনি জড়িত। শিল্পোদ্যোগ নিয়ে তিনি কাশ্মীরের মধু শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সেই জায়গা থেকে তাঁর অন্তরপ্রনরশিপ চর্চায়। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে নজিম এই উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। পরে তা ধীরে ধীরে কলেবর বাড়িয়ে নেয়। ২০১৮ সাল থেকে শুরু করা নজিমের এই উদ্যোগ আজও চলছে জোরকদমে।

মোদীর সঙ্গে তাঁর মধু শিল্পের বিষয়ে আলোচনায় নজিম জানান, প্রথমে ছাদের মাথায় দুটি মৌমাছির চাক বক্সে করে রেখে তিনি শুরু করেছিলেন ব্যবসায়িক পথচলা। ৭৫ কেজি মধু থেকে তিনি আয় করেছিলেন ৬০ হাজার টাকা। মধু তিনি গ্রামে বিক্রি করেছিলেন সেবার। নজিম বলছেন, ২৫ টি মৌমাছির বক্সের জন্য তিনি সরকার থেকে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পেয়েছিলেন। সেই পরিসর বেড়ে এখন ২০০ টি মৌমাছির বক্স রয়েছে নজিমের। ৫ লাখ টাকা তাঁর হাতে এই ব্যবসা থেকে আসতেই ২০২০ সালে নিজের কাজ নিয়ে একটি ওয়েবসাইটও খোলেন নজিম। কাশ্মীরি যুবকের এই উদ্যোগের আওতায় বর্তমানে ১০০ জন কর্মরত।