North Bengal University: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত, আন্দোলনে বন্ধ একাধিক বিভাগ

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বুধবার থেকে ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড বিভাগ বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কাজ বন্ধ থাকে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের পড়াশোনাও ব্যাহত হয়। বন্ধ থাকে একাধিক বিভাগ। এই পরিস্থিতির সামাল দিতে আজ সমস্ত শিক্ষক, আধিকারিক, কর্মী এবং সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মীদের আন্দোলনের জেরে আটকে গেল বেতন

আন্দোলনকারীদের দাবি, উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিতকে অবিলম্বে ক্যাম্পাসে আসতে হবে। তা না হলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই বিভাগ বন্ধ রাখা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে তা চালু করার জন্য অনুরোধ করা হয়নি। যদিও এর পরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মেল পাঠিয়ে বিভিন্ন বিভাগ চালু করতে অনুরোধ করেন বলে জানা যায়। বুধবার সকাল থেকেই আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।

 পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তাতে কোনও সমাধান সূত্রে বেরিয়ে আসেনি। এই অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি, অস্থায়ী শিক্ষক, কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি যে নেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল উপাচার্য পদক্ষেপ না করলে অস্থায়ী উপাচার্য এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। কিন্তু, গত সোমবার সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথা ছিল। তারপরেও সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ। তা নিয়েই ক্ষোভ আন্দোলনকারীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কাউন্সিলের সভাপতি রঞ্জন রায় এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এভাবে দিনের পর দিন এই ধরনের অবস্থা চলতে পারে না। এবিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হবে। এদিকে, শিক্ষাবন্ধু সমিতির বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক রণজিৎ রায় জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দূর্বল বলে মনে করছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অচলাবস্থার জন্য শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে দায়ী করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় চলছে।  উপাচার্য এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালন করছেন না। তাঁরা ভয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছেন না।