Abhijit Ganguly at Siliguri: রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি প্রয়োজন, ভোটে TMC মুছে যাবে: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ প্রয়োজন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগদান করতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে হাজির থাকার কথা রয়েছে তাঁর। এদিন বাগডোগরায় পৌঁছে উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়ন নিয়ে সরব হন অভিজিৎবাবু।

শনিবার অভিজিৎবাবুকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষসহ দলের অন্য নেতারা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার সাংঘাতিক খারাপ অবস্থা। ওপর মহলের নির্দেশে সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের পুলিশ কী ভাবে হেনস্থা করছে সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এটাকে কি আইন-শৃঙ্খলা বলে? তারা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সামলাতে পারছে না। সাংবাদিকরা সেটা তুলে ধরছেন বলে সাংবাদিকদের আক্রমণ করছে। এটা তো একটা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক অবস্থা। এটা বেশি দিন চলতে পারে না’।

এর পরই তিনি বলেন, ‘কাল আমাকে একটা সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের মতো পরিস্থিতি আছে কি না। আমি স্পষ্ট বলেছি, হ্যাঁ আছে। ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা দরকার। সন্দেশখালিতে মা – বোনেদের ওপর অত্যাচার হল। মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি। সেই এলাকার যিনি সাংসদ তিনিও একদিন যাননি। উনি গান – বাজনা করছিলেন। রাজ্য চালানোয় মুখ্যমন্ত্রী আমার হাতে গোল্লা পাবেন। বিগ জ়িরো’।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির দাবি, ‘রাজ্যে বিজেপি কত আসন পাবে তা বলতে পারব না। তবে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে, রিগিং রোখা গেলে এরাজ্যে বিজেপির অসম্ভব ভালো ফল হবে। এমনকী তৃণমূল মুছেও যেতে পারে’।

তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের এখনও অনেক উন্নয়ন প্রয়োজন। শেষবার যখন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এসেছিলেম তখন একটা গ্রামে জল পৌঁছে দিতে আমাকে নির্দেশ দিতে হয়েছিল। গ্রামে জল পৌঁছতে যদি আদালতকে নির্দেশ দিতে হয় তাহলে প্রশাসন কী করছে?’