‘১১ দিন বিস্কুট ও জল খেয়ে ছিলাম’, তুষারপাতে হিমাচলে আটকে থাকার পর উদ্ধার বাংলার ১১ পড়ুয়া

প্রবল তুষারপাতের কারণে হিমাচল প্রদেশে আটকে পড়েছিলেন কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের ১১ জন পড়ুয়া। অবশেষে তাদের উদ্ধার করল প্রশাসন। ওই ছাত্ররা ১১ দিন ধরে আটকে ছিলেন। কোনওভাবে বিস্কুট এবং জল খেয়ে বেঁচেছিলেন তারা। অবশেষে কোনওক্রমে সিমলা পৌঁছতে সক্ষম হয় পড়ুয়াদের দল। এরপর তাদের উদ্ধার করে প্রশাসন। এতদিন ধরে আটকে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিল ছাত্রদের পরিবার। তবে নিরাপদে উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুনঃ ভারি বৃষ্টি-তুষারপাতের কবলে হিমাচল!৫০০ রাস্তা বন্ধ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে হিমাচলে ঘুরতে গিয়েছিল যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের ১১ জন পড়ুয়ার একটি দল। কিন্তু, সেখানে ঘুরতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। প্রবল তুষারপাতের জেরে আটকে পড়েছিল তাদের গাড়ি। সিমলা থেকে রওনা হওয়া তাদের গাড়িটি সাংলা এবং ছিটকুলের মাঝে একটি ছোট গ্রামে পৌঁছতেই শুরু হয়েছিল তুষারপাত। দিনভর চলেছিল প্রবল তুষারপাত ও তুষারঝড়। তার ফলে আটকে পড়ে কলেজ পড়ুয়াদের গাড়ি। 

কলকাতার মোমিনপুরের বাসিন্দা ওই কলেজের এক ছাত্রের কথায়, ‘আমরা সিমলা ছেড়ে সাংলা এবং ছিটকুলের মধ্যে অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম রাকচামে পৌঁছানোর পর তুষারপাত শুরু হয়েছিল। সারা দিন তুষারপাত এবং তুষারঝড় চলেছিল। আমরা তখন সেখানে আটকে পড়ি।’ ছাত্রের কথায়, ‘আমরা এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হব তা কল্পনাও করতে পারিনি।’

ছাত্ররা জানান, তাদের গাড়িটি পাহাড়ের রাস্তায় বরফের মধ্যে আটকে যায়। এরফলে হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই তাদের রাত কাটাতে হয়। এক ছাত্রের কথায়, ‘আমাদের ঠান্ডায় রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে মাঝে মধ্যেই আমরা সেখান থেকে ফিরে আসার আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমাদের কাছে কোনও টাকা ছিল না। কোনও খাবারও সেভাবে ছিল না। আমাদের কাছে কিছু বিস্কুট এবং জল ছিল। তা খেয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হয়েছিল।’ এভাবেই ১১দিন ধরে আটকে থাকে বাংলার আইনের ছাত্ররা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দলটি কিন্নুরের একটি শহর পুহ পৌঁছতে সক্ষম হওয়ার পরে তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।