Butter Chicken turns fatal: বাটার চিকেন খেয়ে বেঘোরে প্রাণ হারাল যুবক! এমন কী ছিল খাবারে?

বাটার চিকেন কারি খেয়ে প্রাণ হারালেন যুবক। বছর হয়েছিল মাত্র ২৭ বছর। কী এমন ছিল মুরগির মাংসের জনপ্রিয় ওই কারিতে, যে এমন হঠাৎ মৃত্যুর শিকার হতে হল যুবককে! উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, কিছুটা বাটার চিকেন খাওয়ার পরই ওই ব্যক্তি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিলেন। এরপর তিনি মেঝেতে পড়ে যান। আর ব্যথা না সইতে পেরে সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডে। তবে, কি কেউ তাঁর খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। তদন্তে অবশ্য তা প্রমাণিত হয়নি।

  • কী এমন ঘটেছিল

সূত্রের খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জোসেফ হিগিনসন, ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের বুরির বাসিন্দা, পেশায় ছিলেন একজন মেকানিক। অ্যানাফিল্যাক্সিস নামক বাদাম থেকে তাঁর অ্যালার্জি ছিল, যা জীবনকে ঝুঁকির মুখেও ফেলে দিতে পারত। ঘটনাটি প্রায় ২ বছর আগের। পোর্টাল মিরর অনুসারে, হিগিনসন পরিবারের সঙ্গে ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২-এ মাত্র বাটার চিকেন কারির এক গ্রাস খেয়েছিলেন। তরকারিতে নাকি প্রচুর ড্রাই ফ্রুটস ছিল। এতে অ্যালার্জি ফিরে আসে হিগিনসনের। মেঝেতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে রয়্যাল বোল্টন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুস্থ করতে অ্যাড্রেনালিন দেওয়া হয়েছিল, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে সিপিআরও করা হয়েছিল। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও ভর্তির ৭ দিনের মাথায়, ৪ জানুয়ারি তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর পুলিশ তদন্ত করলেও চিকেন কারি তৈরির প্রতিষ্ঠানের কোনও দোষ খুঁজে পায়নি। এখন বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে।

  • অ্যালার্জিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়

পরিবারের মতে, হিগিনসন তাঁর অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং চিকেন কারি খাওয়ার আগে একবার দেখেও নিয়েছিলেন যে কোনও কিছু অ্যালার্জির উপাদান আছে কিনা। কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। যাইহোক, এর পরেই তাঁর বোন এমিলি হিগিনসন বলেছিলেন যে অ্যালার্জিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।অ্যালার্জি এমন কিছু নয় যা হালকাভাবে নেওয়া যায়। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কয়েক মাস আগে হিগিনসনের অ্যালার্জি ধরা পড়ে। এলার্জি এড়াতে তিনি এপিপেন নিতেন। প্যাথলজিস্ট ডাঃ ফিলিপ লাম্ব নিশ্চিত করেছেন যে জোসেফ তরকারি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কারিতে থাকা বাদামই হিগিনসনের মৃত্যুর কারণ ছিল।

প্রসঙ্গত, অ্যালার্জি বাদে জোসেফের শরীরে কোনও কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারেনি। তাই মৃত্যুর পর তাঁর অঙ্গ দান করেছে পরিবার। বোন এমিলি জানিয়েছেন, জোসেফের হার্ট ও একটি কিডনি দান করা হয়েছে। যাঁদের শরীরে এগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, তাঁরা জীবিত রয়েছেন।