Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়ার আশেপাশে উনুন ব্যবহার নিয়ে সমীক্ষা করবে এজেন্সি, ৬ মাস সময় চাইল KMC

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল যে তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে উনুন জ্বালানো যাবে না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশপ্রেমীদের দাবি ছিল। সেই দাবিতে সম্মত হয়ে এমন নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য পূর্ত দফতরকে  নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই অবস্থায় ওই এলাকার মধ্যে কারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে, তা চিহ্নিত করতে একটি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করতে চায় কলকাতা পুরসভা। এরজন্য আদালতের কাছে ছ’মাস চেয়েছে পুরসভা।

আরও পড়ুনঃ  ভিক্টোরিয়ার ৩ কিমির মধ্যে উনুন জ্বালানো যাবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

এমাসেই আদালতে হলফনামা দিয়ে পুরসভা জানিয়েছে, তারা আদালতের নির্দেশ মেনে ময়দান এলাকায় একটি সমীক্ষা করেছিল। কিন্তু, ওই এলাকা অনেক বড় হওয়ায় বাস্তব পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব হয়নি। তাই তারা একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করতে চায়। এর জন্য দ্রুত দরপত্র আহ্বান করবে পুরসভা। তাই সংস্থাকে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেওয়ার দিন থেকে সমীক্ষার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত আদালতের কাছে ছ’মাস সময় চেয়েছে কলকাতা পুরসভা। এদিকে, এত সময় চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, সমীক্ষা করতে গিয়েই কলকাতা পুরসভার এত সময় লেগে যাচ্ছে। তাহলে বন্ধ করতে গিয়ে কত সময় লাগবে। 

প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। সেক্ষেত্রে রাজ্য পরিবহণ দফতর হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা একাধিক বৈঠক করেছে। তাতে সাঁতরাগাছি এবং হাওড়ার ফোরশোর রোড ও ডিউক রোডের জমিতে সরকারি বাস এবং পরিবহণ দফতরের অধীনে এন্টালি, করুণাময়ী এবং নিউ টাউন-রাজারহাট এলাকার জমিতে বেসরকারি দূরপাল্লার বাস রাখার বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। 

সেক্ষেত্রে সাঁতরাগাছি টার্মিনাসে ১৭০টি বাস রাখা যেতে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। অন্যদিকে, ধর্মতলায় ‘মাল্টি মোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’-এর রূপরেখা তৈরির বরাত পেয়েছে রাইটস। তাদের প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। যদিও পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগে সেখান থেকে বাস স্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও কার্যকর করতে পারেনি রাজ্য সরকার। পুনরায় কলকাতা হাইকোর্ট সেই নির্দেশ দেওয়ার পরেও টালবাহানা করছে রা