Assam: প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ, অপমান থেকে মুক্তি, CAA নিয়ে উল্লসিত অসমের বরাক উপত্যকা

বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ

সোমবারের সন্ধ্যা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করা হয়। তারপরই উল্লাসে মাতে অসমের বরাক উপত্যকার অনেকেই। যখন ওই রাজ্য়ের অনেকেই প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন বরাক উপত্যকায় অন্য় ছবি। একেবারে খুশির ছবি। অনেককেই দেখা যায় রাস্তায় পটকা ফোটাচ্ছেন। মিষ্টি বিলি করছেন। আসলে এই দিনটার জন্য়ই যেন তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। রাস্তায় বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

এদিকে একাধিক আইনজীবী তথা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য় এই সিএএ থেকে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ফরেনার্স ট্রাইবুনাল শিলচরের প্রাক্তন সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানিয়েছেন, এই নিয়ম অনুসারে কোনও ব্যক্তিকে তিনি যে দেশ থেকে এসেছেন তার নথি দেখাতে হবে। ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে থেকে থাকছেন এমন যেকোনও একটি নথি দেখাতে হবে। আমরা সিএএকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু সেটা অসমেরর আবেদনকারীদের কতটা সুবিধা দেবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে বরাক উপত্যকার বাংলাভাষিরা মিলে তৈরি করেছেন নর্থ ইস্ট লিঙ্গুয়িস্টিক অ্যান্ড এথনিক কো অর্ডিনেশন কমিটি। ২০১৫ সালে এটা তারা তৈরি করেছেন। যে হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য় চেষ্টা করছেন তাদের পাশে থাকে এই সংগঠন।

সেই সংগঠনের পক্ষে শুভেন্দু শেখর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হিন্দুরা যে অপমান সহ্য করেছেন এবার তার অবসান হবে। আমাদের কাছে এটা স্বাধীনতার দিন। ৪৭ সালের পর থেকে আমরা এই অপমান সহ্য করে আসছি। আর আজ হল প্রকৃত স্বাধীনতার দিন।

তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আমরা সংগঠনের তরফে বাসিন্দাদের সহযোগিতা করব। এদিকে বরাক উপত্যকার কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল অবশ্য় এই সিএএ ইস্যুতে তীব্র সমালোচনা করেন।

কংগ্রেস নেতা তথা গুয়াহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী হাফিজ রশিদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেশী দেশের দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ইচ্ছা যদি বাস্তবে সরকারের থেকে থাকে তবে ইমিগ্রেশন অ্য়াক্ট ১৯৫০ ই যথেষ্ট। সিএএ-র দরকার ছিল না।

শিলচরের এমপি রাজদীপ রায় হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আমার দাদু ধর্মীয় নিপীড়নের জেরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরে আক্রমণের মুখে পড়ে তাঁকে চলে আসতে হয়েছিল। সেই পরিবারের সদস্য হিসাবে বুঝতে পারছি আজ এই দিনটার অনুভূতিটা ঠিক কী।