Difference between CAA and NRC: সিএএ আর এনআরসি কি ভাই-ভাই? ফারাক কোথায়? ভয় পাবেন না, আসল সত্যিটা জানুন

অবশেষে লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে কার্যকর করা হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বড় ধমাকা ভোটের আগে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই সিএএ প্রসঙ্গে বিরোধীরা নানা কথা বলতে শুরু করেছিলেন। সিএএ কার্যকর হলে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। কার্যত সিএএ আর এনআরসিকে গুলিয়ে দেওয়ার একটা অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ক্যা ক্যা ছি ছি ধ্বনিও উঠেছিল। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো এনআরসি আর সিএএ-র মধ্যে রয়েছে যোজন ফারাক। এনিয়ে অযথা আতঙ্কের কোনও ব্যাপার নেই। সিএএ লাগু হয়েছে। এক্ষেত্রে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এমন কোনও ব্যাপার কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

CAA আসলে কী?

২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে পাশ করা হয়েছিল সিএএ। সিটিজেনশিপ অ্য়ামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৯। এখানে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আশ্রয় নিয়েছিলেন ও ভারতে ৫ বছর থাকলেই তারা এই ভারতের নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করতে পারবেন। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই দাবি করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সেই মতোই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর লোকসভা ভোটের মুখেই সিএএ নিয়ে বড় ঘোষণা করা হল। ধর্মীয় কারণে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁরা এদেশের নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করতে পারবেন।

এনআরসি( NRC) আসলে কী?

এনআরসি অর্থাৎ ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস। এটা হল ভারতীয় নাগরিকদের একটা রেকর্ড।

এনআরসি আর সিএএর মধ্য়ে ফারাকটা ঠিক কী?

সিএএ হল নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। এই আইনের আওতায় নাগরিক হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। কারা এই আবেদন করতে পারবেন সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আর এনআরসি হল অবৈধভাবে যারা ভারতে রয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে বৈধ নাগরিকদের নিয়ে তৈরি নথি।

স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। একজনেরও নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নিশ্চিত করে বলছি।

এদিকে ভোটের মুখে বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল সিএএ ও এনআরসিকে কার্যত গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। এমনকী এনিয়ে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে এক্ষেত্রে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। সিএএ ও এনআরসির মধ্য়ে বিস্তর ফারাক।