ISF-TMC clash: লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই উত্তপ্ত ভাঙড়, ISF-TMC সংঘর্ষে আহত অনেকে

রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ঝরল রক্ত। ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ প্রয়োজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানার পশ্চিম সাতুলিয়া এলাকায়। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন আইএসএফ তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে পালটা আইএসএফের কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সব মিলিয়ে এদিনের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দু’জন। তাদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল, গ্রেফতার হলেন নওশাদ সিদ্দিকী

আইএসএফের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় দলের তরফে বুথ কমিটির বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের উপর হামলা চালায়। অভিযোগ, ৫০ থেকে ৬০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাদের উপরে হামলা চালায়। এই ঘটনায় আইএসএফের একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের দাবি, তৃণমূলের মারধরের ঘটনায় আইএসএফের দু’জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের প্রথমে জিরানগাছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে।

খলিলুর রহমান নামে আইএসএফের এক নেতা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই সেখানকার তৃণমূল কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালানোর ছক কষেছিল। আর এদিন বুথ কমিটি তৈরির সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল মোল্লার নির্দেশে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়। এই অবস্থায় প্রশাসন পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ঘটনায় দলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

যদিও আইএসএফ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আনারুল মোল্লা জানান, গতকাল ব্রিগেডের সভার পরেই বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ে একটি জরুরী বৈঠক ডেকেছিলেন। তাঁর নির্দেশই তিনি তৃণমূল কর্মীদের সেখানে পাঠিয়েছিলেন। ফেরার পথে পোলেরহাটে মানুষের ভিড় দেখে তৃণমূল কর্মীরা সেখানে দাঁড়ান। তখন আইএসএফ কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়।