Hit by train: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত স্বামী ও মেয়েকে ফেলে দিয়ে চলে গেলেন মহিলা, হতবাক পুলিশ

বিধাননগরে এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করার পর প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল শিশুটিকে খুন করা হয়েছি।  কিন্তু, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শিশুকে খুন করা হয়নি, তার মা তাকে ফেলে চলে গিয়েছিলেন। আসলে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। তার কোল থেকে সেই সময় ছিটকে গিয়েছিল ৪ বছরের শিশু। মহিলা তখন স্বামীকে ফেলে রেখে শিশুকে নিয়ে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেন। কিন্তু, সেই পথে শিশুটির মৃত্যু হলে তাকেও ফেলে দিয়ে চলে যান মা।

আরও পড়ুনঃ আগুনের ভয়ে ঝাঁপ যাত্রীদের? অন্য ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু ১২ জনের? দাবি ওড়াল রেল

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২ মার্চ লেকটাউনের একটি স্কুলের কাছ থেকে বছর চারেকের ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার ঘাড়ের পিছনে আঘাত ছিল। তা দেখেই খুনের অনুমান করেছিল পুলিশ। কিন্তু, পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই মহিলার পরিবারের অস্থায়ী ঠিকানা হল দক্ষিণেশ্বরে। ঘটনার দিন উল্টোডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে দমদমের উদ্দেশ্যে রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন বিন্দি এবং তার স্বামী রমেশ। সঙ্গে ছিলেন বিন্দির বাবা এবং বিন্দি এবং রমেশের দুই মেয়ে। রেল লাইন ধরে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় সেতুর উপর থেকে ছিটকে পড়েন রমেশ। তার কোলে ছিল এক মেয়ে। সেও ছিটকে পড়ে। তখন ঘটনাস্থলেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

এদিকে, ঘটনায় বিন্দি স্থানীয় কাউকে না জানিয়েই মৃতদেহ ফেলে বাড়ির দিকে রওনা দেন। আহত মেয়েকে কোলে নিয়ে যাওয়ার সময় লেকটাউনের স্কুলের কাছে লক্ষ্য করেন তারও মৃত্যু হয়েছে। তখন মেয়েকেও সেখানে ফেলে দিয়ে চলে যান তিনি। যদিও বিন্দির সঙ্গে তার বাবাও ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন তারা কাউকে জানালো না? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

তদন্ত করে জানা গিয়েছে, যে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ ভিক্ষা করেন আবার কেউ তেল বিক্রি করেন। বিন্দি এবং তার বাবাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিধাননগর পুলিশ। তাতে তারা জানতে পারেন যে ট্রেনের ধাক্কায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তখন সত্যতা যাচাই করার জন্য জিআরপিফের কাছ থেকে খবর নেয় পুলিশ। যদিও মহিলা এবং তার বাবার এমন উদাসীনতায় হতবাক পুলিশ। সে ক্ষেত্রে এক আধিকারিকের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওদের জীবনযাপনে বিস্তর ফারাক রয়েছে।