Pakistan Finance Minister: JP Morgan-এর প্রাক্তন কর্তা ঔরঙ্গজেব হলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী! বাঁচাতে পারবেন কি দেশকে?

নতুন সরকার গদিতে বসেছে পাকিস্তানে। সরকারের হাতে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রবল অর্থনৈতিক সংকটের হাত থেকে বাঁচাতে হবে সে দেশকে। তাই এবার অনেক পরিকল্পনা করে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ ঔরঙ্গজেবের হাতে। জানা গিয়েছে, ব্যাংকিং সেক্টরে বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাই আস্থা, হয়ত দেশকে সামলে নিতে পারবেন তিনিই।

পাকিস্তানে পিএমএল-এন ও পিপিপির জোট সরকার রয়েছে। ঔরঙ্গজেবকে অর্থমন্ত্রী করার আগে আলোচনা ছিল চারবারের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকেই পুনরায় অর্থমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করা হবে। যদিও ৬.৫ বিলিয়নের বেলআউট প্যাকেজ পেতে ব্যর্থ হওয়ায়, ইসহাক দারকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এরপর নতুন মুখের দাবি উঠতেই গদি চলে আসে মোহাম্মদ ঔরঙ্গজেবের দখলে। এই পদের জন্য শেহবাজ শরীফের সহযোগী ইসহাক দার ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর শামশাদ আখতার।

কে এই ঔরঙ্গজেব

ব্যাংক লিমিটেডের (এইচবিএল) চেয়ারম্যান এবং সিইও ছিলেন ঔরঙ্গজেব। অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার তুলে নেওয়ার আগে পাকিস্তানের এই বৃহত্তম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ব্যাংকিং শিল্পে তাঁর ৩৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সিটি ব্যাংকে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। তারপর ABN AMRO ব্যাংকে চলে গিয়েছিলেন। পরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য গ্লোবাল কর্পোরেট ব্যাংকের সিইও হিসেবে জেপি মরগানে চাকরি শুরু করেছিলেন তিনি।

  • বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন অর্থমন্ত্রী

বর্তমানে, অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতির কারণে তলানিতে ঠেকেছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সক্ষমতা। তাই নতুন অর্থমন্ত্রীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে অন্তত ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সুরক্ষিত করা। এরই পাশাপাশি, আগামী মাসে শেষ হতে চলা IMF প্রোগ্রাম থেকে চূড়ান্ত ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ট্রাঞ্চও আনলক করতে হবে পাকিস্তানকে। আর এখানেই তাঁকে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। প্রশ্ন করা হচ্ছে, ১৯৯১ ডঃ মনমোহন সিং অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন যেভাবে ভারতের অর্থনীতিকে বাঁচিয়েছিলেন, তিনি কি সেইভাবে পাকিস্তানকে বাঁচাতে পারবেন?

যদিও ঔরঙ্গজেবকে অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগের পরে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমাদের একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে কারণ অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। গভীর অস্ত্রোপচার হবে, যাতে এদেশের শিকড় আরও গভীর হয়। যখনই ইচ্ছা থাকে, তখনই একটি উপায় থাকে এবং এক্ষেত্রে কখনওই দেরি হয় না।’ তবে, এক্ষেত্রে কিছু পর্যবেক্ষক হতাশাবাদী। আইএমএফের প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ নাদিম উল হকের মতে, ল্যারি সামারস বা রুবিনের মতো কিংবদন্তি ব্যক্তিদেরও যদি নিয়ে আসেন, তাঁরাও কিছুই করতে পারবে না। আমাদের অর্থনীতি এবং সমাজে গভীর, গভীর সমস্যা রয়েছে যা আগে ঠিক করা দরকার।

এদিকে, ব্লুমবার্গের অর্থনীতির বিশ্লেষক অঙ্কুর শুক্লা বলেন, শেহবাজ শরিফের কাজেট ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে এবং দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর গদিতে ফিরে আসা নতুন আইএমএফ প্যাকেজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। IMF সহায়তা সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো ঋণদাতা দেশগুলির সমর্থন ধরে রাখতে সাহায্য করবে।