আমরা সাদির প্রতিদান দিতে পারিনি: নাসির উদ্দীন ইউসুফ

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেছেন, আমাদের কাম্য ছিল না এটা। আমরা কখনও ভাবিনি সাদি মহম্মদ এভাবে চলে যাবে। তার এই চলে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত ও শোকাহত। দেশে ও দেশের বাইরে যারা আছেন, যারা রবীন্দ্রসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানের রসিক, শ্রোতা ও দর্শক আছেন, তারা শোকাহত, সাধারণ মানুষও শোকাহত।

তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার সেই ভরা গলা, দরাজ কণ্ঠের গান আর কোথায় পাবো? কত দিন অপেক্ষা করতে হবে?

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদের মৃত্যুর বিষয়ে গণমাধ্যমকে এভাবে বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সাদি যা করেছিল, দিয়েছিল আমাদের, সে তুলনায় আমরা তার প্রতিদান দিতে পারিনি। সেই সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছরের মতো কাজ করে গেছে সে। মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, দেশাত্মবোধক, এসবের প্রতি তার যে মমতা, নিবেদন, শ্রম, চর্চা; সবকিছু মিলে সাদি একজন অনন্য মানুষ।

কাফন-দাফন বিষয়ে বাচ্চু বলেন, সাদি মহম্মদকে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল ইসলামিতে নিয়ে কাফন করা হবে। আমরা তার বাসায় বসে পারিবারিকভাবে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদি মহম্মদকে তার নিজ কক্ষ থেকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। পরে হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগতিক লোহানী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।