Swasthya Sathi Card: ভিনরাজ্যে থাকা বাংলার পরিযায়ীদের জন্য নয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু মমতার, পালটা খোঁচা বিজেপির

বাংলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে থাকেন কর্মসূত্রে। বিগত দিনে এমন অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। উত্তপূর্ব ভারতে রেল সেতু দুর্ঘটনা, উজবেকিস্তানে দুর্ঘটনা বা বেঙ্গালুরুতে ছোট্ট ঘরে বিষাক্ত গ্যাসের মতো নানান ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে থাকেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই আবহে বারবার প্রশ্ন উঠেছে বাংলায় কর্মসংস্থানের অভাবের বিষয়টি নিয়ে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই সবের মাঝেই এবার বাংলার কয়েক লাখ পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁদের পরবিবারের মন জয় করতে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এবার ভিনরাজ্য বসবাসকারী বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করা হয়েছে। সরকার দাবি করছে, এই কার্ডের সাহায্য ভিনরাজ্যে অসুস্থ হলে বা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেই পরিযায়ী শ্রমিক স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে পারবেন। (আরও পড়ুন: ব্রিগেডে চমক ভরা তালিকার পর চুপিসারে আরও এক প্রার্থীর নাম ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের)

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে CAA, মমতা কি পারেন বাংলায় নাগরিকত্ব আইন আটকাতে?

মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমাদের রাজ্যের অনেক শ্রমিক-মজদুর ভিনরাজ্যে রয়েছেন। তাঁরা সেখানে কাজ করেন। আজ থেকে তাঁদের জন্য একটা আলাদা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড চালু করছি। বাইরে কাজ করার সময় তাঁদের শরীর খারাপ হয়, তখন তাঁরা ঘরে খবর পাঠান। তবে ঘরের মানুষের কাছে তাঁদের চিকিৎসা করানোর টাকা থাকে না। আমাদের রাজ্যের ২৮ লাখ মানুষ বাইরে কাজ করেন। এমন শ্রমিক-মজদুরদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছি।’ (আরও পড়ুন: ঝোড়ো মতো ‘ধারাবাহিক’ সোনা, তারই মাঝে বুধে কমল হলুদ ধাতুর দর)

আরও পড়ুন: ডিএ চমক রাজ্যের, ১২৪ কোটি ব্যয়ে সরকারি কর্মীদের খুশি করার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেটে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিমার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সেই বিমা অনুযায়ী বলা হয়েছিল, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে কাজ করলে সেখানেই স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পাবেন। সেই প্রস্তাব রাজ্য ক্যাবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে। এই আবহে সংশ্লিষ্ট পরিযায়ী শ্রমিকের চিকিৎসার খরচ মেটাবে সরকার। অবশ্য এই গোটা প্রক্রিয়া খাতায় কলমে বাস্তবায়িত করার জন্য তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে রাজ্য। এদিকে ভিনরাজ্যে কাজ করা পরিযায়ীদের নাম নথিভুক্ত কার কাজ চলছে। এই বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম জানান, এখনও ২২ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। বাকি আরও যাঁরা আছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। (আরও পড়ুন: ভারতের ৬০ লাখ শিশু ‘অভুক্ত’? ‘জিরো ফুড চিল্ডরেন’ রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র)

আরও পড়ুন: ভারতের নৌঘাঁটির ২৭৫ কিমি দূরে বসে তুর্কি ড্রোন, এবার কি চরবৃত্তি করবে মলদ্বীপ?

এদিকে এই কার্ড নিয়ে পালটা কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোট হারানোর ভয়ে এই সব ভাঁওতা শুরু হয়েছে। গোটা দেশে আয়ুষ্মান ভারত আছে। সেটা এই রাজ্যে চালু করতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আর স্বাস্থ্যসাথী তো এই রাজ্যেই কাজ করে না। ভিনরাজ্যে কী কাজ করবে!’