সরকার পড়ে গেলে ফের নির্বাচন হলে মেয়াদ কতদিনের, বিস্তারিত সুপারিশ দিল ‘এক দেশ, এক ভোট’ কমিটি

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। কমিটিতে একাধিক বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে, সেখানে লোকসভা ভোট আর বিধানসভা ভোট একই সঙ্গে প্রথম ধাপে আয়োজনের পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যদি কোনও সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ত্রিশঙ্কু অবস্থা বা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আসে, তাহলে কী করণীয় তারও সুপারিশ করেছে কমিটি। কমিটির সুপারিশ দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

কমিটি তার সুপারিশে বলছে,  ধাপে ধাপে দেশে এক দেশ ও এক ভোট নীতি লাগু করতে। সেক্ষেত্রে প্রথমধাপে সমান্তরালভাবে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে, যে কোনও রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ যদি লোকসভা ভোট পার করেও থাকে, সেক্ষেত্রে কী হতে পারে?  কমিশনের সুপারিশ, লোকসভা ভোট পর্যন্ত রাজ্যের বিধানসভাগুলির মেয়াদ করা হোক। এছাড়াও কক্ষ যদি ত্রিশঙ্কু হয়, বা যদি বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে, তাহলে কমিটি সায় দিচ্ছে নতুন নির্বাচনের পক্ষে। তবে এই নির্বাচন ওই ৫ বছরের বাকি মেয়াদকালের জন্য হবে। এমনই সুপারিশ এসেছে কোবিন্দের কমিটি থেকে। 

( Election Commissioners: জ্ঞানেশ কুমার, সুখবীর সান্ধু হতে চলেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার! প্যানেলের বৈঠকের পর বললেন অধীর)

এছাড়াও দুই ধরনের ভোট সমান্তরালভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত ফ্যাক্টরগুলি কার্যকরী হয়, তার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, জনশক্তি, সরঞ্জাম। প্রসঙ্গত, ভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে ইভিএম সহ একাধিক সরঞ্জাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়েও সুপারিশ রয়েছে কমিটির। ভোটে প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে সহজ করতে কমিটির প্রস্তাব একক ‘ইলেক্টোরাল রোল’। লোকসভা, বিধানসভা, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার আইডি কার্য ইস্যু করতেও স্থানীয় নির্বাচনী প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জোর দিচ্ছে কমিটি। আন্তর্জাতিক মানিটারি ফান্ডের প্রাচী মিশ্রর একযোগে নির্বাচনের অর্থনৈতিক কার্যকারিতা সম্পর্কিত রিপোর্ট ও  এনকে সিংয়ের একটি গবেষণাধর্মী রিপোর্টকে নজরে রেখে এই কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি তার রিপোর্ট পেশ করেছে। এই তথ্য কমিটির এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্য জানিয়েছেন HTকে। জানা যাচ্ছে, এই সুপারিশের রিপোর্ট তৈরি নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ বগত ১৯১ দিন ধরে নিয়েছে কমিটি। সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে কমিটি।