Kashmir police nabs Bengal woman: ঘটকালির আড়ালে নারী পাচার! কাশ্মীর থেকে এসে মহিলাকে ধরল পুলিশ

পেশায় তিনি ঘটক। অভাবের সংসারে অনেক মেয়ের বিয়ে দিয়ে দরিদ্র বাবাকে পার করেছেন। সেই সূত্রেই এলাকায় বিশেষ খ্যাতি রয়েছে হুগলির বাঁশবেড়িয়া ইসলামপাড়ার বাসিন্দা জইতুন বিবির। এলাকায় তার ভাবমূর্তি একেবারে স্বচ্ছ বললেই চলে। সেই ঘটকের খোঁজেই কাশ্মীর থেকে এল পুলিশ। তবে বিয়ের জন্য নয়, আসলে কাশ্মীরে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে জইতুন বিবির বিরুদ্ধে। আর তারপরেই ইসলামপাড়াই হানা দিয়ে কাশ্মীর পুলিশ এরপরেই জইতুন বিবিকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনায় হতবাক গোতা এলাকাবাসী।

আরও পড়ুনঃ বাংলার প্রতি গ্রাম থেকে চলছে নারী পাচার! দাদাগিরির মঞ্চে সমাজসেবিকার কথায় চমকে উঠলেন সৌরভ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক দরিদ্র বাবা-মা মেয়ের বিয়ে দিতে না পারায় জইতুন বিবির সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। আর তিনি টাকার বিনিময় পাত্র খুঁজে দিতেন। তবে বিয়ের জন্য অবশ্য পাত্রপক্ষকে টাকা দিত না। এভাবেই এলাকায় প্রচুর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন জইতুন বিবি। তাতে অবশ্য কারও কোনওদিন সন্দেহ হয়নি। তবে দেখা যায়, জইতুন বিবি এখনও পর্যন্ত যাদের বিয়ে দিয়েছেন তাদের সকলের বিয়ে হয়েছে কাশ্মীরে। তাই বিয়ের পর কাশ্মীর চলে গিয়েছেন এলাকার বহু মেয়ে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের বড়গাম থানায় একটি নারী পাচারের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্ত নেমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে কাশ্মীর পুলিশ। বড়গামের সেন্টার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সখি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নারী পাচারের কথা জানতে পারে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি পাচার হওয়া এক মহিলার গোপন জবানবন্দী নেয় কাশ্মীর পুলিশ। সেই সূত্রেই জইতুনের নাম জানতে পারে।

 এরপর বুধবার কাশ্মীর পুলিশের ৬ সদস্যের একটি দল মগড়ায় আসে। সেখানে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ওই এলাকায় হানা দিয়ে জইতুন বিবি এবং তার একসঙ্গী মহম্মদ ফিরোজকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। পরে ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ট্রানজিট রিমান্ডে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ।

এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা।  তাদের বক্তব্য, এর আগে জইতুন বিবি অনেকের বিয়ে দিয়েছেন। কাশ্মীর থেকে পাত্র বাবার সঙ্গে এসে এখানকার মেয়েদের বিয়ে করে নিয়ে চলে যেত। শুধু তাই নয় বিয়ের জন্য তারা টাকাও দিত। কিন্তু,  এভাবে যে আদতে মেয়ে বিক্রি করা হতো তা তারা জানতেন না। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনার পর দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন জইতুনের মাধ্যমে বিয়ে হওয়া মেয়ের পরিবার।