World Kidney Day 2024: ঘরে বসেই কিডনি ফাংশন টেস্ট করা যায়? কীভাবে করবেন জেনে নিন এখান থেকে

হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কিডনি ফাংশন পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুরুতর বিপদ এড়াতে এটি সাহায্য করবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে, শরীরে পটাসিয়াম এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কতটা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে আসন্ন বিপদ এড়ানো যেতে পারে কিনা, সবটাই আগে থেকে জেনে নেওয়া যায়। কিন্তু গতানুগতিক পদ্ধতিতে এই কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করাতে হাসপাতালের গেলে, হয়ত তা খুব একটা সুবিধাযোগ্য হবে না। কারণ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য ঘন ঘন হাসপাতালে যাওয়া বেশ কঠিন। হাসপাতালে যাওয়া কেবল তাঁদের দৈনন্দিন রুটিনকেই ব্যাহত করে না বরং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উপরও বোঝা বাড়ায়।

তাই পোর্টিয়া মেডিক্যালের প্রেসিডেন্ট ডাঃ বিশাল সেহগাল জানিয়েছেন, রোগীদের সহজ সেবা দিতে এখন ঘরে বসে কিডনি পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। তাই বাড়িতে বসেই আপনি সঠিক কিছু নিয়ম মেনে করিয়ে ফেলুন কিডনি ফাংশন পরীক্ষা। এর কিন্তু বিশেষ কিছু উপকারিতাও রয়েছে।

ঘরে বসে কিডনি পরীক্ষার উপকারিতা:

বাড়িতে কিডনি পরীক্ষা করানো স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনই বটে। হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, ডায়াবেটিস বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগীদের জন্য, বাড়িতে এই পরীক্ষাগুলি করা তাঁদের জীবন যাত্রাকে অত্যন্ত সহজ ও সুবিধাজনক করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও বাড়িতে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা বেশ সহজ।

এভাবেই ঘরে বসে কিডনি পরীক্ষা করা হয়:

বাজারে একটি কিট কিনতে পাওয়া যায়, যেখানে ডায়াবেটিস পরীক্ষার মতো আঙুল থেকে রক্ত ​​বের করে কিটে লাগানো হয়। কিছু কিটে প্রস্রাবও ব্যবহার করা হয়। যদিও বাড়িতে কিডনি পরীক্ষা করার সুবিধাটি দুর্দান্ত শোনালেও, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করাও গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরীক্ষাটি সঠিকভাবে করে পর্যাপ্ত ফলাফল এসেছে কিনা, তা নিশ্চিত করা। যাতে রোগীরা সেই ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।

কিডনির জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য টিপস:

কিডনি রোগ এড়াতে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস এই টিপসগুলি অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়।

  • আপনার ডায়েটে গোটা শস্য, কম চর্বি, কম সোডিয়াম জাতীয় খাবার খান।
  • তাজা ফল ও শাকসবজি খান।
  • আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • যথেষ্ট ঘুম ও শারীরিক কার্যকলাপ প্রয়োজন।
  • ধূমপান করবেন না।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো।
  • স্ট্রেস, ডায়াবেটিস, বিপি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা করুন।

দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।