খাস কলকাতার তিন জায়গায় থেকে উদ্ধার ৫৪ লক্ষ টাকা, নির্বাচনের প্রাক্কালে গ্রেফতার ৩

এখন দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল শনিবার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। এই আবহে খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। আজ শুক্রবার পোস্তা, বড়বাজার এবং বউবাজার এলাকায় অভিযান শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তখন এই তিনটি জায়গা থেকেই তল্লাশি চালিয়ে ৫৪ লক্ষের বেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকাগুলি হাওয়ালার টাকা বলে সন্দেশ করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মোট টাকার পরিমাণ ৫৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। এটা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে পুলিশ বিশেষ সূত্রে এই খবর আগাম পেয়েছিল। তাই সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই ওই তিন এলাকাতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। খবর যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ পেতে বেশি সময় লাগেনি পুলিশের। বড়বাজারের মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রোডে সৌরভ সিংয়ের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পোস্তায় চন্দ্রমোহন ঠাকুরের কাছ থেকে মেলে ১০ লক্ষ টাকা। চন্দ্রমোহন আসলে বারুইপুরের বাসিন্দা। আর বউবাজার এলাকার প্রদীপ সিংয়ের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জায়গায় ব্যাগে করে এই তিনজন টাকা পাচার করতে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ হতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর প্রত্যেকটি ব্যাগ থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বিজেপি নেতারা আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন’‌, অর্জুন–দিব্যেন্দু যোগে কটাক্ষ কুণালের

অন্যদিকে এই টাকা অভিযুক্ত তিনজন কোথা থেকে পেয়েছেন এবং কোথায় পাচার করতে যাচ্ছিলেন তার সঠিক নথি মেলেনি। তাই ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবং আয়কর বিভাগে খবর পাঠানো হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, পুলিশের কাছে সম্প্রতি খবর এসেছিল যে লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওয়ালার টাকা আসতে শুরু করেছে। আর কলকাতায় বসেই গোটা লেনদেন চলছে। বেআইনি এই আর্থিক লেনদেন প্রাযই চলছে। হাতে গরম খবর পেয়েই ময়দানে নামে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দু’‌দিন ধরে তল্লাশি চালানো হয়।

এছাড়া এত টাকার উৎস জানতেই খোঁজ চলছে। কেমন করে এই টাকা অভিযুক্তরা জোগাড় করেছেন সেটা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আয়কর দফতরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখছে। লোকসভা নির্বাচনে এই টাকা ব্যবহার হতো কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও কেউই এই টাকার উৎস অথবা নথি কিছুই দেখাতে পারেনি অভিযুক্তরা। কোথায় এই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা এখনও তাঁরা জানাননি। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। তাই এই গ্রেফতার।