‘‌পাগলা খাবি কি ঝাঁঝে মরে যাবি’‌, লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে বিজেপি হুঙ্কার অভিষেকের

মুখোমুখি বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরত্বের সঙ্গে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিজেপি। কিন্তু আসল সময়ে বিজেপি নেতাদের কেউ এলেন না। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবিই মানুষের সামনে সত্য প্রমাণিত হল। ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগ করে আসছেন অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েই আজ বিতর্কসভা ছিল ময়নাগুড়িতে। সেখানে তথ্য নিয়ে আসবে বলেও বিজেপির কেউ এলেন না।

এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লিখেছেন, ‘‌মিথ্যাচার করার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের টাকা নষ্ট করছে। আমি বিজেপি নেতৃত্বকে আমার সঙ্গে মুখোমুখি তর্কে বসার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পগুলিতে ১ পয়সাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। আমি যে ভুল তা প্রমাণ করার জন্য বিজেপিকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’‌ সেই চ্যালেঞ্জের পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিজেপি। সময় এবং স্থান বললে কোনও যুবনেতা সেখানে পৌঁছবেন বলা হয়। কিন্তু কেউ এলেন না। আর তারপরই ময়নাগুড়ির সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘‌হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছি। দু’টো পোর্ডিয়াম রেখেছিলাম। একজন বিজেপি নেতা আসবেন। কিন্তু আসেনি। লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। পাগলা খাবি কি ঝাঁঝে মরে যাবি। ক্ষমতাই নেই আসার।’‌

আরও পড়ুন:‌ বঙ্গ–বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে মুষলপর্ব চলছে, জল মাপতে গিয়ে বিলম্ব হচ্ছে

অন্যদিকে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ময়নাগুড়ির টাউন ক্লাবের মাঠে অভিষেকের নির্বাচনী জনসভায় বিজেপির কাউকে দেখা গেল না। কেউ আসবেন না বুঝতে পেরেই অভিষেকের হুঙ্কার, ‘‌বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম। দুটো পোডিয়াম রেখেছি তর্ক হবে বলে। বলেছিলাম শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কেউ কি এসেছেন? আসেনি। লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। খুঁটিপুজো আজ করলাম, বিসর্জন মে মাসের শেষ সপ্তাহে করব। ১০০ দিনের কাজে কোচবিহারে ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার শ্রমিক ছিলেন। যাঁদের টাকা কেন্দ্র আটকে রাখে দু’‌বছর ধরে। এখানকার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। একটা চিঠি লিখেছে ৫ বছরে? ধূপগুড়ি মহকুমা আমরা করেছি। চাষের জল একের পর এক ব্লকে পৌঁছে দিয়েছি। ১০০ দিনের কর্মীদের দু’‌বছর ধরে বিজেপি সরকার টাকা আটকে দিয়েছিল। আমরা টাকা দিয়েছি। ১ এপ্রিল থেকে সাধারণ পরিবারের সদস্যরা বছরে ১২ হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাবে। কথা দিয়ে কথা রাখার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আর যত চোর চিটিংবাজ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিতে।’‌

এছাড়া আজ যে পরিস্থিতি তৈরি হল তাতে বিজেপি বেশ বিপাকে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে না আসার অর্থ উল্টোদিকের ব্যক্তির দাবি সঠিক। তাহলে বাংলার টাকা কেন আটকে রেখেছিল কেন্দ্র?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিষেকের কথায়, ‘‌আমি কথা পাল্টাই না। আপনাদের যা লাগবে আমি পৌঁছে দেব। যেখান থেকে জিনিস নেবেন সেখান থেকেই তো ওয়ারেন্টি নেবেন। বিজেপিকে ভোট দিয়ে তো বলা যায় না তৃণমূলকে, বাড়ির টাকা কই? তৃণমূলকে ভোট দিন আর যদি বাড়ির টাকা না পান, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেব। যদি তৃণমূল সরকার বাড়ির টাকা না দেয়। তবে বাংলার লড়াইয়ে বাংলার পাশে থাকতে হবে।’‌