ভেঙে পড়লো নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়েছে। ঘটনা ঘটার সময় উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলী।
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই ভবনটির নির্মাণ কাজ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকেই চলছিল নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। সন্ধ্যার পর হঠাৎ ছাদের সামনের অংশ ধ্বসে পরে। বিকট শব্দে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন।

অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই অনেক দিন ধরে ভবনটিতে নির্মাণ চলছে। তদারকির জন্য একজন প্রকৌশলী নিয়োগ করা থাকলেও বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ছাদ ধ্বসের ঘটনার সময়ও উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলী।

স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান কাজ করার কারণেই ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. রাহাতের দাবি, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। শ্রমিকদের গাফিলতির কারণে সেন্টারিংয়ে ত্রুটির কারণে ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম কবির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে রাঙ্গাবালী উপজেলা গঠিত হলেও দীর্ঘ দিনেও এখানে নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে চরাঞ্চলের দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জানা যায়, এর নির্মাণ কাজ পায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রাইম কনস্ট্রাকশন। ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা।



সালাউদ্দিন/সাএ