কোনও আক্ষেপ নেই হৃদয়ের

একটুর জন্য সেঞ্চুরিটা হলো না। আর কয়েকটা বল থাকলে ঠিক হয়ে যেতো! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুই বলে ছক্কাও মেরেছিলেন। চার রানের জন্য হলো না। তাওহীদ হৃদয় অপরাজিত থেকেছেন ৯৬ রানে। ১৩তম ওভারে মাঠে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। তার ব্যাটে চড়েই বাংলাদেশ ২৮৬ রান করে। সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও করতে না পারায় অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই হৃদয়ের। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানান তিনি।

৭৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া হৃদয় শেষ ৪৬ রান করেছেন ২৮ বলে। দলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে শেষ দিকে লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। তারপরও সেঞ্চুরি মিস করেছেন। বল না থাকায় বাকি ৪ রান করা সম্ভব হয়নি। ম্যাচ শেষে হৃদয় বললেন তার কোনও আক্ষেপ নেই,‘আমার কোনও আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে, একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারবো যেন এগিয়ে নিতে পারি।’

নিজের ব্যাটিং কৌশল নিয়ে হৃদয় আরও বলেছেন, ‘মাথা যতটুকু কাজ করেছে, চেষ্টা করেছি খেলাটাকে শেষ করতে। যেহেতু ব্যাটার নেই, থাকলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো। আমি ফিফটির পর, আসলে ফিফটির পর না, যখন দেখেছি একটু পরপর উইকেট যাচ্ছে, তখন লক্ষ্যই ছিল খেলাটা শেষ করবো। আমি সেট ব্যাটসম্যান, আমি খেলাটা শেষ করলে ভালো কিছু হবে।’

শান্তর আউটের পর সৌম্যর সঙ্গে জুটি বাঁধেন হৃদয়। তবে ৫৪ বলে ৫৫ রানের জুটির পর সৌম্য বিদায় নেন। পরে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে হৃদয় ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন। তবে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি ছিল লেট অর্ডারের সঙ্গে। প্রথমে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ বলে ১৬ এবং তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটির পর তাসকিনকে নিয়ে হৃদয়ের ২৩ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটাই দলের স্কোরকে ২৮৬ রানে নিয়ে যায়। 

লেট অর্ডার ব্যাটার হলেও তাসকিন-সাকিবদের প্রতি তার আস্থা হৃদয়ের, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন আমার মাথায় ছিল মিরাজ ভাইয়ের পরেও (তানজিম) সাকিব ভালো ব্যাটিং করে, তাসকিন ভাই ভালো ব্যাটিং করে। এমনকি তাইজুল ভাই, শরিফুল এরাও ভালো ব্যাটিং করে। আমার ওদের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে শেষ পর্যন্ত যারা আছে, তাদের নিয়েই আমি খেলবো। দলের জন্য যতটুকু অবদান রাখতে পারি।’

হৃদয় আরও বলেছেন, ‘দেখেন শেষ দিকে যারা আসে ব্যাটিংয়ে, তাদের রান অনেক ইমপ্যাক্টফুল। তাসকিন ভাইয়ের রান, (তানজিম) সাকিবের রান। দুজনের সঙ্গেই ভালো জুটি হয়েছে। দলকে অনেক সাহস দেয় এই রানগুলো। সবসময় এটা দলের জন্য ভালো দিক।’