‘‌বিজেপি নেতারা আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন’‌, অর্জুন–দিব্যেন্দু যোগে কটাক্ষ কুণালের

যা গুঞ্জন ছিল সেটা এবার বাস্তবে পরিণত হল। আজ, শুক্রবার বিজেপির নয়াদিল্লির সদর দফতরে গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন তমলুকের বিদায়ী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টিকিট পাননি। অথচ অর্জুন সিং বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছিলেন। দিব্যেন্দু অধিকারীর পরিবারের সবাই বিজেপিতে গেলেও তিনি চুপচাপ জল মাপ ছিলেন। আর বিজেপিতে যোগ দিয়েই কেউ বললেন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। আবার কেউ বললেন, নিজের কর্মীদের বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছিলাম। আর তাঁদের এই যোগদান নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ।

এদিকে অর্জুন সিং টিকিট পাবেন ধরে নিয়ে ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় গিয়েছিলেন। আর তা না পাওয়ায় এখন আঙুর ফল টক এমন ভাব দেখাচ্ছেন। অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিং তাঁকে পাল্টুরাম বলেছেন। টিকিটের লোভেই এসেছিলেন। আবার টিকিটের লোভেই চলে গেলেন। আর দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে কোণঠাসা হয়ে ছিলেন। কোনও কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যেত না। কিন্তু তিনি শেষ দিন পর্যন্ত সাংসদ পদ ছাড়েননি। এই গোটা পর্বটির পরেই এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‌বিজেপি নেতারা আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এতে নতুনের কী রয়েছে?’

অন্যদিকে অর্জুন সিং বিজেপিতেই ছিলেন। একুশের নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে এলেও বিজেপির সাংসদ পদ ছাড়েননি। আর অধিকারী পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকি ছিলেন দিব্যেন্দু। সুতরাং অধিকারী পরিবারে আর একটি পদ্ম ফুটল। এখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে উস্কে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লিখেছেন,‘‌দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এবার পরিবারতন্ত্র নিয়ে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? তৃণমূলের ব্রিগেডের দিন ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় নাম ছিল না অর্জুনের। তারপরই তিনি তৃণমূলের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। যার নিটফল, দিল্লি উড়ে গিয়ে আবার বিজেপিতে অর্জুন।’‌

আরও পড়ুন:‌ পাহাড়ে প্রার্থী এখনও দেয়নি কংগ্রেস–বিজেপি, বিমল গুরুং–অজয় এডওয়ার্ড কি তুরুপের তাস?‌

এছাড়া অর্জুন সিং বারবারই দলবদল করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যান ২০১৯ সালে। ফেরত আসেন ২০২১ সালে। আবার গেলেন ২০২৪ সালে। আর দিব্যেন্দু অধিকারী মন দিয়ে রেখেছিলেন বিজেপিকে। আর দেহ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না দিব্যেন্দুর। বিজেপির অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন দিব্যেন্দু বলে সূত্রের খবর। তবে সিলমোহর দিয়েছিলেন বাবা শিশির অধিকারী। কদিন আগেই তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, যেদিন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেন সেদিনই বুঝে যাওয়া দরকার ছিল গোটা পরিবারই মোদী–শাহের সঙ্গে চলে গিয়েছে।