রাফায় হামলা ও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নেতানিয়াহুর সম্মতি

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সাথে হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে হাস্যকর উল্লেখ করে, আলোচনার জন্য কাতারে আরেকটি দল পাঠাতে রাজি হয়েছেন তিনি। শনিবার (১৬ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

শুক্রবার রাতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়,হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহ থেকে বেসামরিক জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পাঁচ মাস পর রাফা শহরটিতে হামলার অনুমোদন দিলেন নেতানিয়াহু। রাফায় এরই মধ্যে অন্তত ১০ লাখ ৪০ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। 

হামলা শুরু হলে সেখানে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু আরও বাড়বে উল্লেখ করে হামলা থেকে বিরত থাকতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের বৈশ্বিক মিত্র ও সমালোচকরা।

এদিকে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্থগিত যুদ্ধবিরতি আলোচনা রবিবার আবারও শুরুর আশা করছেন কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো এ আলোচনায় একসাথে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মধ্যস্থতাকারী দুই মিসরীয় কর্মকর্তা জানান, তিন পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে হামাস।

এর আগে রোজা উপলক্ষে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ার পর, আবারও নতুন করে আলোচনার জন্য কাতারে বসবে প্রতিনিধি দল।

তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে এসব আলোচনা প্রস্তুতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবারও এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় শিশুসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হলো ৩১ হাজার ৫৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আর হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে ১২০০ ইসরায়েলি।