সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান মার্কেটে BJPর পতাকা উড়তেই নৈতিকতা জেগে উঠল তৃণমূলের

সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান মার্কেটে উড়ল বিজেপির পতাকা। শুক্রবার শেখ শাহজাহান মার্কেটে বিভিন্ন জায়গায় দলীয় পতাকা বেঁধে দেন বিজেপি কর্মীরা। শাহজাহান মার্কেটে বিজেপির পতাকা বাঁধা হতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নীতি – নৈতিকতা জেগে উঠেছে। দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর অত্যাচার ও গরিব মানুষের জমি দখলের পরও যে তৃণমূলের নেতারা মুখ বন্ধ করে ছিলেন তাদের দাবি, বেসরকারি জায়গায় এভাবে পতাকা বাঁধা অনৈতিক।

আরও পড়ুন: বর্ধমান–দুর্গাপুর, আসানসোল এবং বীরভূমে ভোট কবে?‌ রাঢ়বঙ্গে এবার জমজমাট লড়াই

৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলা ও ফেব্রুয়ারির গণ অভ্যুত্থানের পরে গত কয়েক মাসে বদলে গিয়েছে সন্দেশখালির রাজনৈতিক ছবি। আদালত ও জনমানসের লাগাতার চাপে তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাকে সিবিআইয়ের হাতেও তুলে দিতে হয়েছে তাকে। এর পর গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহানের ৩ শাগরেদ জিয়াউদ্দিন মোল্লা, দিলদার বক্স মোল্লা ও ফারুক আকুঞ্জি। সরবেড়িয়ার ঘরে ঘরে পৌঁছচ্ছে সিবিআই আর ইডির নোটিশ। সব মিলিয়ে ত্রাহি রব উঠেছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। এর পর কার পালা এই প্রশ্নে এখন রাতের ঘুম উড়েছে শাসকদলের নেতাদের।

এরই মধ্যে শুক্রবার সরবেড়িয়া বাজারে শেখ শাহজাহান মার্কেটে ঢুকে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পতাকা বাঁধের বিজেপি কর্মীরা। প্রায় ১০ বছর পর সেখানে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা উড়ল।

আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ সাজদা আহমেদ, সন্ধান দিলেই মিলবে ৫ লক্ষ টাকা, পোস্টার উলুবেড়িয়ায়

এই নিয়ে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, শুধু শাহজাহান মার্কেট নয়, সববেড়িয়া বাজারের বিভিন্ন এলাকায় পতাকা বাঁধা হয়েছে। সন্দেশখালিতে জনজাগরণের পর মানুষ গোটা দেশের লোক তৃণমূলের আসল রূপ চিনে গিয়েছে। আর এই কাণ্ডের যে মূল হোতা সেই শাহজাহানকে কী ভাবে তৃণমূল আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছে তা-ও সবার জানা। ১০ বছর পরে সন্দেশখালিতে বিরোধীরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। এতে তৃণমূলের সমস্যা হচ্ছে কেন?

এক তৃণমূল নেতা বলেন, সন্দেশখালিতে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সেগুলো মিটিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু বিজেপি অশান্তি ছড়াতে নানা রকম প্ররোচনা দিচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে ঢুকে দলীয় পতাকা বাঁধা অনুচিত।