Health News: অ্যান্টিরেবিস ডোজ নিয়েও জলাতঙ্কে মৃত্যু তরুণীর, প্রশ্ন ওষুধের গুণমান নিয়ে

<p><strong>কলকাতা:</strong><span style="font-weight: 400;"> পথকুকুরে কামড়েছিল আচমকাই। তার জন্য অ্যান্টিরেবিস ইনজেকশন নিতে হয়েছিল। প্রতিটি ইনজেকশনই ঠিকমতো নিয়েছিলেন ২১ বছরের তরুণী সৃষ্টি শিন্ডে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না তাঁর। ইনজেকশন নেওয়ার পর দিনই সৃষ্টি আক্রান্ত হন জলাতঙ্কে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করতে হয়। সেখানে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সৃষ্টিকে। কোলাপুরের এই তরুণী মৃত্যুর ঘটনাই&nbsp; একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যে ইনজেকশন তাঁকে দেওয়া হয়, তা আদৌ ভাল ছিল না খারাপ হয়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।&nbsp;</span></p>
<p><strong>ঠিক কী ঘটেছিল এক মাস আগে ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতের বেলা বাড়ি ফিরছিলেন সৃষ্টি শিন্ডে। কোলাপুরে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ তাঁর একটি ফোন আসে। ফোনে কথা বলতে তিনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়েন। সেই সময়েই রাস্তার একটি কুকুর এসে কামড়ে দেয় পায়ে। এই ঘটনার পর আর দেরি করেননি সৃষ্টি। ওষুধের দোকানে গিয়ে নিয়ম করে অ্যান্টিরেবিস ইনজেকশন নিতে শুরু করেন তিনি&zwnj;। এই ইনজেকশন পর পর পাঁচটি ডোজ নিতে হয়। তাঁর কোনওটিই বাদ দেননি সৃষ্টি।</span></p>
<p><strong>টিকা নেওয়ার পর কী হল ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">ইনজেকশন নিলেও রেবিস ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাননি সৃষ্টি । শেষ ডোজটি নেওয়ার একদিন পরেই তাঁর প্রচন্ড জ্বর আসে। এর পর তাঁর পা দুটি অবশ হয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায়, রেবিসে আক্রান্ত হয়েছেন সৃষ্টি। অর্থাৎ অ্যান্টিরেবিস ইনজেকশন নিলেও তা কোনও কাজ করেনি। এর পর তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।&nbsp; কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তরুণীর। এর পরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে।</span></p>
<p><strong>উঠছে প্রশ্ন</strong><span style="font-weight: 400;">&nbsp;</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অ্যান্টিরেবিস নেওয়ার পরেও কীভাবে জলাতঙ্ক হল, সেই নিয়েই প্রশ্ন। তাহলে কি ওষুধের গুণমান খারাপ ছিল ? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন তুলেছেন সৃষ্টির পরিজনরা । সধারাণত অ্যান্টিরেবিস ইনজেকশন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এর থেকে বেশি তাপমাত্রায় থাকলে ওষুধের গুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ওষুধ কাজ নাও করতে পারে। এক্ষেত্রে কি তেমন কোনও ঘটনা ঘটেছে ? কেন ওষুধের বিষয়ে দোকানগুলি সাবধানতা অবলম্বন করেন না – এমন প্রশ্নও তুলছেন সৃষ্টির আত্মীয় স্বজনেরা।&nbsp;</span></p>
<p><a href="https://bengali.abplive.com/lifestyle/study-reveals-when-our-mood-is-best-and-when-is-worst-in-bengali-1053295"><strong>আরও পড়ুন -&nbsp;Health News: ঘড়ি ধরেই নাকি বদলায় মেজাজ ! আপনার কখন মন ভাল থাকে ?</strong></a></p>