Illegal liquor: বেআইনি চোলাইয়ের কারবারে নেশায় বুঁদ শিশুরা, ঠেক ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত মহিরারা

দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চোলাইয়ের কারবার রমরমিয়ে চলছে। তারফলে প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ তো বটেই চোলাইয়ের নেশায় বুঁদ থাকছে শিশুরাও। কিন্তু, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। এমনই অভিযোগ তুলে চোলাইয়ের ঘাঁটি ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সবমিলিয়ে ৫ জন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলারা। বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মালিকপাড়া গ্রামের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মদের ঠেক উঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মহিলারা। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ চোলাই বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা!

মহিলাদের অভিযোগ, ওই গ্রামে বেশ কয়েকটি চোলাইয়ের দোকান রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই মদের কারবার চলছে। চোলাইয়ের দাম কম হওয়ায় গ্রামের পুরুষরা নেশায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তবে শুধু পুরুষরাই নন, গ্রামের বৃদ্ধ এমনকী শিশুরাও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এরফলে শিশুদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পুরুষরা নেশায় বুঁদ থাকার ফলে দরিদ্র পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয় উঠছে। যারফলে সংসার চালাতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ছেন মহিলারা। তাই গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেরাই সেই ঠেক ভাঙার সিধান্ত নেন।  

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সেই চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মহিলারা। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, বেআইনিভাবে চলা চোলাইয়ের ঠেকগুলি ভাঙতে গিয়ে মদের ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের পালটা বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাদের ওপর হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন মহিলা আহত হয়েছেন। তাদের আহত অবস্থায় ওই ৫ মহিলাকে স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই ঘটনার পরেই কোতুলপুর থানায় অভিযোগ জানান মহিলারা। তারা চোলাইয়ের ঠেক বন্ধ করার পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।  

প্রসঙ্গত, প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল কাঁথির নয়াপুটের দুর্গাপুরে। সেখানেও বেআইনি মদের ঠেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন গ্রামের মহিলারা। এরপর গত বছরের জুন মাসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ওই চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে দিয়েছিলেন। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মদের ঠেক ভাঙার পাশাপাশি প্রচুর মদের বোতল নষ্ট করে দেওয়া হয়। তারপরেই সেখানে চোলাইয়ের ব্যবসা বন্ধ হয়েছিল।