টাংগুয়ার হাওরে মাছ ধরার সরঞ্জাম আগুনে পুড়ে ধ্বংস

মাদার ফিশারিজ খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিপন্ন করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৭টি হাঁসের খামারসহ ৬লাখ টাকা মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা তিনদিন টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্তর্গত কোর জোনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি।

খোঁজ নিয়ে জানাজায়,মাদার ফিশারিজ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিপন্ন করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৭টি হাঁসের খামার ধ্বংস করা হয়। এছাড়া মা মাছ ও পোনা মাছের অস্তিত্ব বিলীনকারী দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা মূল্যের চায়না দুয়ারি জাল, দুই লক্ষ টাকা মূল্যের মশারি জাল,এক লক্ষ টাকা মূল্যের কেনা জাল,১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের কিরণমালা চাই জব্দ করে জনসম্মুখে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। 

হাওর পাড়ের বাসিন্দাগণের অভিযোগ করেন, এই হাওরের সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে হাওরের পাড়ের জেলেদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে টাংগুয়ার হাওরের মাছ পাখি শিকারের সুযোগ করে দেয়। ঐসব লোকদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

উপজেলার সচেতন মহল বলছেন,হাওরে নির্বিচারে মাছ ও পাখি শিকারের কারণে অস্তিত্ব সংকটে পরেছে তাই হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিপন্ন করতে না পারে তার জন্য কঠোর নজরদারির বাড়ানোর পাশাপাশি অনিয়ম কারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। 

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি জানান,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঐসব লোকজন মাছের বংশ ধ্বংসে মেতে উঠেছিল। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চলবে। কোনো অনিয়মকেই ছাড় দেয়া হবে না। এর সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।



শাকিল/সাএ