Brawl in Gujarat University over Namaz: রমজানের সন্ধ্যায় নমাজ আদায়ের সময় গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ বিদেশি পড়ুয়াকে মারধর!

নমাজ আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস। এই ঘটনায় গভীর রাতের পাঁচজন বিদেশি ছাত্রকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঝগড়ার সময়ই এই পাঁচ বিদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নমাজ আদায়ে আপত্তি তুলে ৫ পড়ুয়ার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, আহত ছাত্ররা উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক। জানা গিয়েছে, এই পড়ুয়ারা নিজেদের ঘরে বসেই নমাজ আয়াদ করছিলেন। সেই সময় একদল লোক এসে নমাজ আদায়ের প্রতিবাদ জানান এবং চেঁচাতে শুরু করেন। (আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় ফুটতে পারে পদ্ম, ‘শুকিয়ে’ যাবে ঘাসফুল, দাবি সমীক্ষায়)

আরও পড়ুন: অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, বারবার বিপত্তি ঠেকাতে নবান্নে চিঠি বিমানবন্দরের

অভিযোগ, নমাজ আায়ের প্রতিবাদে আসা ব্যক্তিরা নিজেরাও ধর্মীয় স্লোগান দিতে শুরু করে। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। জানা গিয়েছে, আমবাদে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্লক ‘এ’-তে এই ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই বিদেশি পড়ুয়াদের ছাত্রাবাস আছে। এদিকে মারামারির কারণে পাঁচ বিদেশি পড়ুয়াই আহত হন। (আরও পড়ুন: ১৬% বেতন বেড়েছে এই সরকারি কর্মীদের, মিলবে ২০ মাসের বকেয়াও)

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক কর্মীরা এবার থেকে সপ্তাহে ২ দিন করে ছুটি পাবেন? মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে আমদাবাদের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ দমন) নীরজকুমার বদগুজর জানান, ইতিমধ্যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। এদিকে আহত পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে একজন এখনও হাসপাতালে ভরতি আছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা। এদিকে আক্রান্ত পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঝামেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ সেখানে এসে পৌঁছায়। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহত পড়ুয়াদের ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। দেখা যায়, ঘটনায় অন্তত পাঁচটি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: অবশেষে জয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের, ভোট ঘষণার ঠিক আগে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশে সই

এদিকে ছাত্রাবাসের এক পড়ুয়া ঘটনা প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘গত রাত ১১টার দিকে বাইরে থেকে ১০-১৫ জন আমাদের হোস্টেল ক্যাম্পাসে আসে। আমরা নমাজ আদায়ের সময় তাদের মধ্যে তিনজন আমাদের হোস্টেল ভবনে প্রবেশ করে। তারা আমাদের বলে যাতে আমরা নমাজ আদায় না করি। এরপর জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে শুরু করে তারা। তারা নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং তারপর নমাজ আদায় করা পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালায়। অন্যান্য অমুসলিম বিদেশি ছাত্ররা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। তখন তারাও হামলার শিকার হয়। তাদের ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। তাদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও আয়না ভাঙচুর করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার দু’জন এবং আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার একজন শিক্ষার্থী এই হামলায় আহত হন।’