Elephant attack: বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষককে পিষে মারল দাঁতালের দল, আতঙ্ক এলাকায়

লোকালয়ে হাতির হামলা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বন দফতর। তা সত্ত্বেও যেন বন্ধ করা যাচ্ছে না হাতির হামলা। আর তার ফলে রাজ্যে গজরাজের হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফের হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এবার হাতির হানায় মৃত্যু হল এক স্কুল শিক্ষকের। স্কুল থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষকের সামনে চলে আসে হাতির দল। সেই সময় শিক্ষক পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তখন তাঁকে পিষে মারে হাতি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কুসুমপুর জঙ্গলে। মৃত শিক্ষকের নাম বাদল দত্ত (৫২)। 

আরও পড়ুনঃ হাতির তাণ্ডবে মাথায় হাত কৃষকদের, ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা আলুর জমি

জানা গিয়েছে, বাদল দত্ত কেশিয়ারি হাইস্কুলের শিক্ষক। কুসুমপুর জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এদিন সেরকমই কেশিয়ারির কুসুমপুর নাপো এলাকার ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সামনে ওই হাতি চলে আসে। তখন ওই শিক্ষক বাইক ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, গজরাজের হাত থেকে রেহাই পাননি। পথেই তাঁকে পিষে মারে দাঁতালের দল। জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষক কেশিয়ারি থানার ডি কুসুমপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। 

স্থানীয়দের বক্তব্য, এই এলাকায় কয়েকদিন ধরে ৭০ থেকে ৮০টি হাতির একটি দল তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রথমে হাতিগেড়িয়া জঙ্গলে ওই দেখা যায় ওই দলকে পরে বনদফতরের কর্মীরা হাতির দলকে তাড়ালে তারা কুসুমপুর জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। দুর্ঘটনাক্রমে সেই সময় শিক্ষক বাড়ি ফিরছিলেন। তখন এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। পরে পুলিশ গিয়ে শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে, খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হাতির হানায় মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। যারমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দার্জিলিংয়ে। গত বছরের দার্জিলিংয়ে হাতির হানায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে বিভিন্ন সময় হাতির হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি হাতির হামলায় মৃত্যু ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এআই প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্যামেরা। এর মাধ্যমে হাতিদের রিয়েল টাইম অবস্থান জানা সম্ভব হবে। তাতে প্রাণহানি রোখা সম্ভব হবে জানান বন আধিকারিকরা।