Attack on police: বিয়েবাড়িতে মহিলার নম্বর চাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের ঝামেলা, আক্রান্ত গড়ফা থানার পুলিশ

দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা। আর সেই ঝামেলা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকায়। পরিস্থিতি এতটাই উতপ্ত হয়ে ওঠে যে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে পর্যন্ত মারধর করা হল। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল এক পুলিশ কর্মীর। সবমিলিয়ে একজন এএসআই, সার্জেন্ট-সহ ৩ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গড়ফা থানা এলাকায়। রবিবার এমন ঘটনার জেরে পুলিশ এক মহিলা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে টহলদারি পুলিশের ওপর হামলা দুষ্কৃতীদের, ভাঙল গাড়ির কাচ, আহত ৫

কী ঘটেছিল? 

জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ১৩ মার্চ। ওইদিন পালবাজারে একটি বিয়েবাড়ি ছিল। সেই বিয়েবাড়ি ঘিরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি ওই বিয়েবাড়িতে গিয়ে মাঝবয়সি এক মহিলার ফোন নম্বর চেয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি সপরিবারে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে মহিলার কাছে ফোন নম্বর চাওয়াতেই ঘটে বিপত্তি। ওই ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়েবাড়িতে বেশ কয়েকজন বসে মদ্যপান করছিল। মহিলার কাছে ফোন নম্বর চাওয়াতে ওই ব্যক্তির ওপর চড়াও হয় মদ্যপ যুবকের দল। সেই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও পরে আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। 

অভিযোগ, যুবকের দল পরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে বাকি সদস্যের ওপর চড়াও হয়। তাদের মারধর করার পাশাপাশি বাইকের চাবি নিয়ে চলে যায়। এরপর বাইকের চাবি দেওয়ার জন্য তারা ডাকে। কিন্তু, বাইকের চাবি দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। পরে সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানান আক্রান্ত পরিবারটি। 

এদিকে, অভিযোগ পেয়ে গড়ফা থানার পুলিশ পালবাজারে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যায়।তখন পুলিশকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে উঠলে আরও পুলিশ গিয়ে সেখানে পৌঁছয়। সেখানে পুলিশের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হন। পরে আরও পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। খবর পেয়ে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোয়ানরাও পৌঁছয়। এদিকে, ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।