Bengaluru man beaten over Hanuman Chalisa: নমাজের সময় হনুমান চালিসা বাজানোয় দোকানদের মার বেঙ্গালুরুতে, ভাইরাল ভিডিয়ো

কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে নমাজের সময় হনুমান চালিসা বাজানোয় মারধর করা হল এক দোকানদারকে। ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, নিগ্রহের শিকার হওয়া দোকানদারের নাম মুকেশ। তাঁর একটি মোবাইলের দোকান আছে। সন্ধ্যায় সেই দোকানে হনুমান চালিসার রেকর্ড বাজছিল। তখন এলাকার অনেকে নমাজ আদায় করছিলেন। এই আবহে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে মুকেশকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মুকেশের দোকানে লাগানো সিসিটিভিতে গোটা ঘটনাটা ধরা পড়ে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় পুলিশ থানায়। (আরও পড়ুন: প্রথম দফায় সেনা সরানোর পর ফের বৈঠকে ভারত-মলদ্বীপ, কী বলছে MEA?)

আরও পড়ুন: ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা নিয়েছে বাম দলগুলি? প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য

রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর সিদ্দান্না গলি এলাকার জুম্মা মসজিদ রোডে। মুকেশের দোকানের নাম ‘বর্ধমান টেলিকম’। মুকেশের অভিযোগ, সন্ধ্যায় আচমকাই তাঁর দোকানে ৫ থেকে ৬ জন যুবক চড়াও হয়। হনুমান চালিসার রেকর্ড বাজানো নিয়ে তাঁরা আপত্তি তোলে। নমাজের সময়তে ভক্তিমূলক সঙ্গীত কেন চালানো হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয় মুকেশের থেকে। এরপর বচসা শুর হয়। শীঘ্রই তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। মুকেশকে মাথায় মারা হয় স্পিকার দিয়ে। এর জেরে মুকেশ গুরুতর আহত হন। (আরও পড়ুন: CAA-তে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষার নিদান তথাগতর, ‘নগ্ন প্রতিহিংসা…’, সরব তৃণমূল)

মুকেশ এই হামলার বিষয়ে বলেন, ‘মনে হচ্ছিল হামলাকারীদের হাতে অস্ত্র ছিল।’ মুকেশের অভিযোগ, এই যুবকরা তাঁকে বিগত দুই মাস ধরেই নানান ভাবে সমস্যায় ফেলছে। তাঁকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজিরও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ মুকেশের। এদিকে মুকেশের আরও অভিযোগ, হালাসুরু গেট পুলিশ থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তা প্রথমে নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এরপরে স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত যুবকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং প্রিবাদ প্রদর্শন করেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এফআইআর করে। এদিকে মুকেশের সমর্থনে এলাকার অনের দোকানদারই প্রতিবাদ করেন থানার সামনে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবি তুলতে থাকেন তাঁরা। অভিযুক্তদের না ধরা হলে ধর্মঘট ডাকারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এদিকে গোটা এলাকায় পুলিশ টহলদারি চালাচ্ছে। এসিপি এবং ইন্সপেক্টর পদাধিকারীরা সেখানে উপস্থিত হন। তারাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে বিপুল সংখ্যা বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেই এলাকায়।