Emergency landing: মাঝ আকাশেই সিটে বমি, মলত্যাগ করলেন যাত্রী, কলকাতায় জরুরি অবতরণ বিমানের

মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল দুর্গন্ধ। আর তার ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়লেন বিমানের অন্যান্য যাত্রীরা। আসলে বিমানের সিটেই মলত্যাগ করে ফেলেন অসুস্থ এক যাত্রী। আর সেই সঙ্গে বমিও করেন। তার জেরে চিকিৎসার প্রয়োজনে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করল আমদাবাদ থেকে কলকাতাগামী একটি বিমান। এরপর তড়িঘড়ি ওই যাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয় হাসপাতালে।

আরও পড়ুনঃ বিমানের ভেতর ঘোড়াটা লাফালাফি করছে, বার্তা পাইলটের, জরুরী অবতরণ করল কার্গো প্লেন

জানা গিয়েছে, আমেদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিট নাগাদ উড়ান শুরু করেছিল কলকাতাগামী ৬ই৬৫৫৬ বিমান। সেই বিমানে মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা যাত্রী জগদীশ মদন। উড়ান শুরু করার প্রথম দিকে যাত্রী মোটামুটিভাবে সুস্থ থাকলেও কলকাতার আকাশে প্রবেশ করার পরে অসুস্থ অনুভব করেন তিনি। তখন ওই বৃদ্ধা যাত্রী নিজের সিটেই মলত্যাগ করার পাশাপাশি বমি করে ফেলেন। তাতে বিমানের মধ্যে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এরফলে বিমানের অন্যান্য যাত্রীরা চরম অস্বস্তি বোধ করেন। 

বিষয়টি লক্ষ্য করেন বিমান সেবিকা। তড়িঘড়ি তিনি যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। তাতে তিনি লক্ষ্য করেন মহিলার হৃদস্পন্দন ক্রমেই কমে আসছে। তখন এ বিষয়ে কেবিন ক্রু সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিমান সেবিকা। যাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বুঝে তখন বিমান চালক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত অগ্রধারের ভিত্তিতে তিনি বিমানটি জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চান। এরপর অনুমতি পেয়েই বিমান জরুরি অবতরণ করে। 

এদিকে, বৃদ্ধার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আগে থেকেই বিমানবন্দরের প্রস্তুত ছিলেন চিকিৎসকরা। বিমান অবতরণের পরেই তারা বৃদ্ধা যাত্রীর চিকিৎসা শুরু করে দেন। তবে ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যাত্রী।

এদিকে, বিমান বন্দরের তরফে বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় বিমান উড়ান শুরু করার সময় অনেক যাত্রী সাময়িকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। ওই যাত্রীও উড়ানের সময় সাময়িক অসুস্থ বোধ করছিলেন। প্রথম দিকে নিজেকে সামলে নিলেও পরে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি ওই যাত্রী।