Garden Reach Building Collapse Update: ‘তাঁর এলাকায়’ অবৈধ নির্মাণ ভেঙে মৃত ২, কী বলছেন মেয়র? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা বন্দর এলাকার ১৩৪ নং ওয়ার্ডে গতরাতের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৫ জনের মতো। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভেঙে পড়া বিল্ডিংটি নির্মীয়মাণ ছিল। বিগত ২ বছর ধরে সেটি তৈরি হচ্ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। এদিকে স্থানীয়দের আরও দাবি, এই বিল্ডিং বেআইনি। এবং স্থানীয়দের সেই দাবি মেনে নিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেও। এই আবহে কড় পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। (আরও পড়ুন: ‘বকেয়া ৯০’-এর আশায় ৮ বছরের লড়াই, ডিএ মামলায় জিতলে বাংলার সরকারি কর্মীদের লাভ কত)

আরও পড়ুন: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় ফিরল বাসালোর স্মৃতি, মালগাড়ির সাথে ধাক্কা ইঞ্জিন ও ৪ কামরার

ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এই ভবনটি কোনও ভাবেই বৈধ হতে পারে না।’ ফিরহাদ নিজে রাতভর দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এই আবহে ফিরহাদ হাকিম বাড়ির প্রোমোটারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, যেখানে বিল্ডিংটি ধসে পড়েছে, সেই এলাকা কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যা কি না খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্বাচনী কেন্দ্র। ২০১১ সাল থেকে এখান থেকেই টানা জিতে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। এই আবহে তাঁরই এলাকায় এহেন অবৈধ নির্মাণ হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে আপাতত এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা বলছেন মেয়র। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানান ফিরহাদ।

আরও পড়ুন: ভোটের কাজ করা কর্মীদের সপ্তম পে কমিশনের অনুপাতে বেতন, বিজ্ঞপ্তি এই রাজ্যের

মেয়রের কথায়, ‘এই বাড়ি তৈরির অনুমতি থাকতে পারে না। যাঁরা এই বাড়ি তৈরি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পাশের টালির বাড়িতে থাকা লোকেরা এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এক জনের পাপের শাস্তি অন্য জনে পাচ্ছে। এই সরু গলিতে এত বড় বাড়ি হয় না।’ এদিকে স্থানীয়দেরও অভিযোগ ছিল, পুরসভার আইন অমান্য করে পাঁচতলা বিল্ডিং তোলা হয়েছিল সেই ঘিঞ্জি এলাকায়। বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তাটি তিন ফিটের বেশি চওড়া নয়। এত সংকীর্ণ রাস্তার সামনে পাঁচতলা ভবন তোলার অনুমতি পাওয়া যায় না পুরসভা থেকে।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের গার্ডেন রিচ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার বিপর্যয়ের কথা জেনে আমি মর্মাহত। আমাদের মেয়র, দমকল মন্ত্রী, সচিব এবং পুলিশ কমিশনার, পুলিশের এবং দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা দুর্ঘটনাস্থলে থেকে সবকিছুর তদারকি করছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য সারা রাত সেখানে ছিলেন তাঁরা। আমরা নিহতদের নিকটাত্মীয় এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করব। আমরা দুস্থ পরিবারের পাশে আছি এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।’