Odisha Murder: ডাইনি সন্দেহে খুন ওড়িশার দম্পতি, মাওবাদীরা জড়িত নয়, তদন্তে নয়া মোড়

ওড়িশার কান্ধামাল জেলায় মাওবাদীদের হাতে আদিবাসী দম্পতি খুন হয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল। তবে পরে পুলিশ দাবি করছে আসলে ডাইনি সন্দেহে তাদের কুপিয়ে খুন করেছে গ্রামবাসীরা। তারা তুকতাক করতেন এই অভিযোগ তুলেই তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। 

গত ৮ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছে কন্ধমাল জেলার গাদাপাদার গ্রামে। পরদিন জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয়।

কান্ধামালের পুলিশ সুপার শুভেন্দু পাত্র জানিয়েছেন, প্রথমে বাতাসি কানহার ও তাহিরা কানহার নামে ওই দম্পতিকে মাওবাদীরা খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হলেও পরে তদন্তে জানা যায়, গ্রামবাসীরা তাঁদের কুপিয়ে খুন করেছে।

দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের সন্দেহ, খুনের ধরন ভিন্ন হওয়ায় জোড়া খুন মাওবাদীরা করতে পারে না। খুনিরা শক্ত বস্তু দিয়ে মাথার মাঝখানে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীরা সাধারণত কাউকে খুন করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে না।

পুলিশি তদন্তে আরও জানা গেছে যে স্থানীয় কিছু লোক অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে গ্রামবাসীরা এই দম্পতিকে ডাইনি অপবাদ দিয়েছিলেন। তারা তুকতাক করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। এই দম্পতি ধর্মীয় নানা আচার আচরণ পালন করতেন। বাড়িতে পূজোপাঠ করতেন।

এই দম্পতির বিরুদ্ধে জাদুবিদ্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং তারা গ্রামের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। ৪ মার্চ গ্রাম কমিটির বৈঠকে লোকজন ওই দম্পতিকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং মূল অভিযুক্ত সুনীল দিগল নামে এক ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করে।

সুনীল পরে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় এবং বলেছিল যে এই দম্পতিকে হত্যা করার জন্য তার সাথে আরও ১০ জন লোক ছিল। তারা প্রথমে বাতাসিকে হত্যা করে, পরে তার স্বামী তাহিরা কানহারকে হত্যা করে।

মৃত তাহিরা সালাগুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্য ছিলেন।এই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল তাদের মাওবাদীরা খুন করেছে। পরে জানা যায় তাদের ডাইনি সন্দেহে খুন করা হয়েছে। একেবারে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে পুলিশ এই ঘটনায় আর যারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। 

পিটিআই ইনপুট।