SC On Patanjali: অবমাননার দায়ে ‘সুপ্রিম’ নোটিস রামদেব, বালাকৃষ্ণকে, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় কোর্টে হাজিরার নির্দেশ

বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় নয়া মোড়। এবার অবমাননা ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের নোটিস গেল পতনঞ্জলীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালাকৃষ্ণ ও যোগগুরু রামদেবের কাছে। এছাড়াও ২ সপ্তাহের মধ্যে যোগগুরুর রামদেব ও আচার্য বালাকৃষ্ণকে কোর্টে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ মঙ্গলবারই এক বড় রায়ে জানিয়ে দিয়েছে, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় পতনঞ্জলীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালাকৃষ্ণ ও যোগগুরুর রামদেবকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। আর তা হতে হবে ২ সপ্তাহের মধ্যে। উল্লেখ্য, এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশ দিয়েছিল। সেই আদেশ পালন ঘিরে পতনঞ্জলীর ভূমিকায় অসন্তোষ রয়েছে কোর্টের। গত বছরের নভেম্বরে একটি প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জারি করা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিষয়ে পতনঞ্জলী ও বালাকৃষ্ণের অবস্থান স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছে কোর্ট। এছাড়াও ওই পতনঞ্জলীর বিজ্ঞাপনে বাবা রামদেবের ছবি থাকার ফলে রামদেবকেও এই মামলায় একটি পক্ষ হিসাবে ধরা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে কোর্ট যোগগুরুর রামদেবকেও সশরীরে হাজির থাকতে বলেছে। কোর্ট নোটিসে জানাতে চেয়েছে, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও আদালত অবমাননার পক্রিয়া শুরু করা যাবে না? কোর্ট তার বক্তব্যে বলেছে, ‘ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ আগামী তারিখে আচার্য রামদেবের সাথে আদালতে উপস্থিত থাকবেন।’ 

এদিকে, পতনঞ্জলীর পণ্যে বাবা রামদেবের ছবি থাকার কারণে এই মামলায় যোগগুরুকেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। অন্যদিকে, পতনঞ্জলীর তরফে কোর্টে এদিন সওয়াল জবাব করেন বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রহোতাগি। তিনি বলেন, পতনঞ্জলীর সঙ্গে যোগগুরু রামদেবের যোগ নেই কোনও। তাঁর আরও দাবি, যোগগুরু রামদেবকে শোকজ করার আগে, যোগগুরুর বক্তব্যও শোনা উচিত কোর্টের। রোহতাগির যুক্তিকে খণ্ডন করে কোর্ট বলছে, গত বারও এমন হয়েছিল যে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল যে বাবা রামদেব আমাদের আদেশ পাশ করার পরে একটি প্রেস কনফারেন্স ডেকেছিলেন। আমরা শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছি। তাঁকে সাড়া দিতে দিন।’ এর আগে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন পতঞ্জলীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল, বিজ্ঞাপনে রোগ নিরাময়ের মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর দাবি করার জন্য এবং আধুনিক ওষুধের অসম্মান করার জন্য। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোর্ট বলেছে, যাতে পতনঞ্জলী কোনও চিকিৎসার কার্যকারিতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন না দেয়, এছাড়াও কোনও চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়েও যেন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন না দেয়।