Bankura: চলন্ত বাসে স্ত্রীর প্রেমিক ঔরঙ্গজেবকে ছুরি দিয়ে কোপালেন স্বামী সৌরভ

চলন্তবাসে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে ছুরি দিয়ে কোপালেন এক যুবক। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ এলাকার ঘটনা। আহত নমিতা ও তাঁর প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত সৌরভ সিংহকে খুঁজছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাংলার হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপের ভাই স্বরূপের বাড়িতে আয়কর হানা, ভোর থেকে তল্লাশি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ ও নমিতা। তাঁদের ৩ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি মেয়েকে নিয়ে অলকাধাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান নমিতা। এর পর বীরভূমের বাসিন্দা শেখ ঔরঙ্গজেব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে নমিতাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে নমিতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

সেই মামলায় মঙ্গলবার খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ঔরঙ্গজেব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নমিতা ও তাঁর শিশুকন্যা। আদালতের কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যায় কেরানিবাঁধ থেকে বাসে ওঠেন ২ জন। পিছনে ছিলেন নমিতার স্বামী সৌরভ। রাত ৮টা নাগাদ কেরানিবাঁধ থেকে বাস চলতে শুরু করলেই ছুরি নিয়ে ঔরঙ্গজেবের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন যুবককে। স্বামীকে বাধা দেন নমিতা। তাঁর গায়েও ছুরির কোপ লাগে। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করেন আতঙ্কিত যাত্রীরা। চিৎকার শুনে বাস থামিয়ে দেন চালক। সেই সুযোগে বাস থেকে নেমে গা ঢাকা দেন সৌরভ। ওদিকে বাস নিয়ে সদর থানার দিকে রওনা দেন চালক রঞ্জিত মাহাতো। পথে পুলিশ তাঁকে বাস সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে পৌঁছলে নমিতা ও ঔরঙ্গজেবের চিকিৎসা শুরু হয়।

আরও পড়ুন: বসিরহাটে অভিষেকের সভা নিয়ে প্রস্তুতি চরমে, জনসমাগম কত হবে?‌ ধোঁয়াশা দলে

পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, নমিতাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁকে আমরা মঙ্গলবার আদালতে হাজির করি। নমিতা আদালতে জানান, স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না। এর পরই ওই মহিলার স্বামী চলন্ত বাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালান। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।