CDS on China: ‘উঠোনে বসে যদি চিন খেলে…’, মলদ্বীপে বেজিংয়ের প্রভাব বাড়তেই শতর্কবাণী CDS-এর

ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চিনই। মেনে নিলেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান। ব্রিটিশদের থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত সমস্যার জেরে এই জটিলতা বলেও মন্তব্য করেন সিডিএস। পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চিনের উত্থান এবং বিশ্বের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেনারেল চৌহান। সেই সময়ই চিনের আগ্রাসী মনোভাব এবং কূটনৈতিক চাল নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন তিনি। (আরও পড়ুন: ‘প্রতিশোধ’ নিতে পাক এয়ারস্ট্রাইক আফগান মাটিতে, মৃত ৮ মহিলা-শিশু!)

আরও পড়ুন: ২১-এ মিলিয়েছিলেন অঙ্ক, সেই PK ২৪-এর ভোটে ‘পদ্মের চমক’ দেখছেন বাংলায়

চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বলেন, ‘বর্তমানে এই একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণে আমরা নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমদের আজ এটা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলিতে ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। সেখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা রয়েছে। আর এর জেরে আমাদের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এই অশান্তির সাগরে ভারতই একমাত্র স্থিতিশীলতার একমাত্র দ্বীপ বলে মনে হয়।’ তাঁর কথায়, ‘স্থিতিশীল শাসন কাঠামোর অভাব, অকার্যকর আইন প্রয়োগের জেরে মাদকদ্রব্য, মানব পাচার এবং অস্ত্র চোরাচালান সহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ক্রমেই বাড়ছে প্রতিবেশি দেশ থেকে। এবং সেই দেশগুলি চোরাচালানকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড গোটা আঞ্চলের নিরাপত্তাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। পাশাপাশি আমাদের পরিবেশকেও তা অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।’ (আরও পড়ুন: একই কাজের জন্যে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন ইন্দিরা, মোদীর নামে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের)

আরও পড়ুন: ভারতে ঘটে যাওয়া ঘুষকাণ্ডে মার্কিন তদন্তের মুখে গৌতম? মুখ খুলল আদানি গোষ্ঠী

সিডিএ বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে আশেপাশের অঞ্চলের অস্থিরতাকে চিহ্নিত করতে হবে। সেই সব জায়গায় অন্যরা পা দেওয়ার আগেই ভারতকে তার পদচিহ্ন প্রসারিত করতে হবে। এভাবেই সেই গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থানগুলিকে আমরা পূরণ করতে পারব। এটা ভারতের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার স্বার্থেই করতে হবে। যদি চিন ভারতের উঠোনে বসে চেকার্স খেলে তা ভারতের জন্য ভালো খবর নয়। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ফার্স্ট রেসপন্ডার এবং নিরাপত্তা পার্টনার হতে চাই আমরা।’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে শ্রীলঙ্কা এবং বর্তমানে মলদ্বীপে চিনের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। কয়েকদিন আগেই চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের সামরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু বেজিং গিয়েছিলেন কয়েক মাস আগেই। এরই মাঝে চিনা গুপ্তচর জাহাজ এসে মালে বন্দরে নোঙর ফেলেছিল। এই সবের মাঝে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মলদ্বীপের। (আরও পড়ুন: কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ! ১৭% বেতন বেড়েছে কর্মীদের, এরপরই LIC-র শেয়ার দরে পতন)

আরও পড়ুন: ‘দেড় কোটি নয়, ৩-৬ লাখ আবেদন করবেন CAA-তে’, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযোগ NRC নিয়ে

এদিকে চিন-ভারতের সীমান্ত সমস্যা নিয়েও মুখ খোলেন সিডিএস। তিনি বলেন, ‘ভারতের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল অমীমাংসিত সীমান্ত। ভারতের প্রাচীন সীমান্তগুলি ব্রিটিশ জমানায় আকার নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু এর মধ্যে সবকটি আন্তর্জাতিক সীমান্তের বৈধতা পায়নি। স্বাধীনতার পর এইভাবেই আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে বিতর্কিত সীমানা পেয়েছি। চিন তিব্বত দখল করায় তারা আমাদের নতুন প্রতিবেশি হয়। আমাদের প্রতি শত্রুতা ও ঘৃণার জন্ম দেয় তারা।’ বর্তমানে যে পাকিস্তানের থেকে চিনই ভারতের জন্য বেশি বড় হুমকি, তা অকপটে স্বীকার করেন সিডিএস। তিনি বলেন, ‘আজ ভারত দু’দিকেই প্রতিবেশিদের সাথে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা, নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে এই সংঘাত জারি আছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে চিনের সাথে অমীমাংসিত সীমানা এবং চিনের উত্থান।’