চেন্নাই: আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল। বিগত আইপিএলগুলোর দিকে যদি চোখ রাখা যায়, তবে রেকর্ড ঘাঁটলে কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরই কিন্তু সাকসেস রেটের দিকে থেকে সবার আগে সিএসকে। গতবার যখন শেষ ওভারে যখন ম্য়াচ জিতল চেন্নাই, আমি কাকতালীয় ভাবে সেদিন মাঠে ছিলাম। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আমি ছিলাম। জাদেজা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্য়াচটা জিতিয়েছিল সিএসকেকে। ধারাবাহিকভাবে এই দলটা ভাল খেলে এসেছে প্রতিটা মরশুমেই। হ
শক্তি
এই দলটায় রুতুরাজ গায়কোয়াড ও ডেভিড কনওয়ে আইপিএলে এই মুহূর্তে সেরা ওপেনিং জুটি। এবার কনওয়ে যদিও নেই আইপিএলে। কিন্তু আমি তবুও বলব আইপিএলের যে ঘরানার ক্রিকেট, যে ফর্ম্য়াটের ক্রিকেট হয়, সেখানে এঁরাই সেরা জুটি। তবে এই দলটায় এমন কয়েকজন প্লেয়ার আছেন, যাঁরা ব্যাটে- বলে নজর কাড়তে পারেন। শিবম দুবে আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্য়ে। আর বিদেশি প্লেয়ারদের মধ্য়ে অবশ্যই নাম বলব রাচিন রবীন্দ্রর। খুব বেশি দাম ও নিলামে পায়নি। কিন্তু আমি মনে করি রবীন্দ্র খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। ব্যাটে রান পায় ও। বল হাতে ওঁর চারটে ওভার খেলা যে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ভীষণই কঠিণ। দ্রুত বল করে চলে যায়। ব্য়াটারকে ভাবারই সময় দেয় না জাডেজা। এছাড়া ফিল্ডিং নিয়ে তো কিছু বলারই নেই। বিশ্বের অন্য়তম সেরা ফিল্ডার। তাই জাডেজাকে আমি পুরো প্যাকেজ বলব যে কোনও দলের।
অনেকেই রাহানেকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। সম্প্রতি রঞ্জিতে ওর পারফরম্য়ান্স ভাল হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি লাল বল ও সাদা বলের অনেক তফাৎ রয়েছে। আর রাহানের টেকনিকটা খুব শক্তিশালী। তাই ওকে খেলাবে টিম ম্য়ানেজমেন্ট, এটা আমার বিশ্বাস। রাহুল দ্রাবিড় যখন আইপিএল খেলেছিল, তখন অনেকেই বলেছিল যে দ্রাবিড় কীভাবে আইপিএল খেলবে! কিন্তু দ্রাবিড় কিন্তু খারাপ পারফর্ম করেনি যতদিন খেলেছে। আর শেষ বছর রাহানে দুটো অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিল। ১৯ বলে ৫০ রয়েছে একটা। কেকেআরের বিরুদ্ধে এই ইডেনেই মারকাটারি ব্যাটিং করেছে। তিন নম্বরে ওকেই নামানো হবে হয়ত। শিবম দুবে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বেশ ভাল ব্যাটিং করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জিতেও ভাল খেলেছে। দুবের পারফরম্য়ান্স সিএসকের প্লাস পয়েন্ট হতে পারে। স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে জাডেজার সঙ্গে মঈন আলিকে দেখা যেতে পারে। অভিজ্ঞতা একটা সম্পদ। আর ব্যাটের হাতটাও বেশ ভাল। এখানেই হয়ত স্যান্টনারের থেকে মঈন এগিয়ে থাকবে একাদশে ঢোকার ক্ষেত্রে।
আমি যদি চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপটা দেখি তাহলে সেখানে ভারতীয় বোলারদের মধ্য়ে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক ২ পেসার শার্দুল ঠাকুর ও তুষাপ দেশপাণ্ডে আছে। শার্দুল তো ব্যাটটাও ভাল করে আর দেশের হয়েও খেলেছে। আমি তুষারের বোলিং নিজে চোখের সামনে দেখেছি। টিম ম্য়ানেজমেন্ট ভারতীয় বোলারদের মধ্য়ে তুষারকেই আগে বেছে নেবে। এছাড়াও মুস্তাফিজুরের স্লোয়ার, কাটার কিন্তু বিপদে ফেলতে পারে ব্যাটারদের। বাঁহাতি বোলার ও। তাই বাড়তি সুবিধে এমনিই পাবে।
দুর্বলতা
এই দলটার দুর্বলতা নিয়ে বলতে গেলে আমার চোখে শুধুই পড়েছে একটু বেশি বয়স্ক দল। তরুণ ক্রিকেটার সেই অর্থে কিন্তু দলটায় অন্যদের থেকে কম। ধোনি আজকে ৪২ পেরিয়েও খেলে যাচ্ছে। যতই হোক না কেন, আমি মনে করি গতবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ওর সরে গেলে আরও ভাল হত। সুন্দর মঞ্চ ছিল ওটা। তবে আমি বিশ্বাস করি ধোনি নিজের কেরিয়ারে প্রতিটা সিদ্ধান্তই একেবারে সঠিক সময় মতই নিয়েছে। আরামসে ১০০ টেস্ট খেলতে পারত। কিন্তু ৯০-তে গিয়েই কিন্তু থেমে গেল। আমচকা ক্রিকেট থেকে অবসরও নিল। গত তিন চার বছর ধরে এমনটাও শোনা যাচ্ছে যে ধোনির শেষ মরশুম….কিন্তু ততবারই ফিরে এসেছে ও। তবে আমার মনে হয় আর না। এবার মরশুম শেষে সরে দাঁড়াক ও। আর এই কথা বলার অন্য়তম কারণই হল বয়স। সেটা ফ্য়াক্টর। ফিল্ডিংয়ে প্রভাব পড়ে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে বার ১০ বছর আগেও ধোনি যেভাবে দৌড়াত সেভাবে এখন আর ও দৌড়াতে পারবে না। জাডেজা ছাড়া বাকি যাঁরা অভিজ্ঞ প্রত্যেকেরই কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ধার কমেছে। আর ফিল্ডিংটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই ছোট ফর্ম্যাটের খেলায়।
গেমচেঞ্জার
একজনই। রবীন্দ্র জাডেজা। আর কোনও নাম মাথাতেই আসবে না। চেন্নাই দলটায় ধোনির পরে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার। কোনও এমন বিভাগ নেই যেখানে ও নিজেকে মেলে ধরেনি। প্রতি ম্য়াচেই বল করবে। ধোনি ওকে কোটার চারটে ওভার করাবে। আর মাঝের ওভারগুলোয় রান চেক দেওয়া থেকে শুরু করে উইকেট তুলে নেওয়ায় ওর থেকে বড় ওস্তাদ কেউ নেই। ফিল্ডিংয়ে প্রতি ম্য়াচে বেশ কয়েক রান বাঁচাবে। আর লোয়ার অর্ডারে ব্যাটের হাতটাও ভাল। চাপের মুখে খেলে ম্য়াচ জেতানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জাডেজার। গত আইপিএল ফাইনালই তাঁর প্রমাণ।
এক্স ফ্যাক্টর
এখানে আমি বলব রাচিন রবীন্দ্রর কথা। অল্প বয়স। প্রথমবার আইপিএল খেলতে নামবে। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে কিন্তু
আরও দেখুন