Illegal construction: ‘বেআইনি নির্মাণে জড়িতদের শিক্ষা দিতে হবে’, জরিমানা দ্বিগুণ করল হাইকোর্ট

রবিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে গার্ডেনরিচে। বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এই ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মঙ্গলবার কড়া অবস্থান নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, বেআইনি নির্মাণ থাকলে তা ভাঙার উপর কোনওভাবেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। আর বুধবার একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতার একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযুক্তের জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ।

আরও পড়ুনঃ বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নয়, কড়া অবস্থান হাইকোর্টের

অভিযোগ, কলকাতার নন্দীবাগান ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। কোনও অনুমোদন ছাড়াই ওই নির্মাণ গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, যার বিরুদ্ধে এই বেআইনি নির্মাণে অভিযুক্তকে আগে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেই টাকা দিতে চাইছেন না অভিযুক্ত। এমন অভিযোগ শোনার পরেই বিচারপতি অভিযুক্তের জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করে দেন।

এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, এসবের সঙ্গে যুক্তদের এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়। বিচারপতির মতে, এসবের ক্ষেত্রে আদালত চুপ করে বসে থাকলে, কোনও বিচার না দিলে তা অন্যায় হবে। বিচারপতি জানান, যেহেতু সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর ডিভিশন বেঞ্চগের কোনও স্থগিতাদেশ নেই তাই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। 

এর আগের দিন বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত তিনটি মামলা উঠেছিল বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে। তবে সেই সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করেননি বিচারপতি সিংহ। তিনি বলেছিলেন, আদালত বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বললে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। মানুষের জীবনের সুরক্ষা হল মূল বিষয়। কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুর আধিকারিকদের অবিলম্বের বেআইনি বাড়ির তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তালিকা ধরে ধরে বাড়ি ভাঙাতে বলা হয়েছে। 

এদিকে, গার্ডেনরিচের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। কেন এত দিন এই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রোমোটার। আরও জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।