Israel-Hamas War: যুদ্ধে মৃত হামাসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পুরো শক্তি দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ অবিরত। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে ইজরায়েল। কিছুদিন আগেই, হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন যে ইজরায়েল যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। গ্যালান্ট জোর দিয়ে বলেছিলেন যে গাজা ‘আগে যে অবস্থায় ছিল তাতে আর ফিরে আসতে পারবে না।’ সে কথা রেখেছে ইজরায়েল। আমেরিকা জানিয়েছে যে হামাসের তিন নম্বর কমান্ডার, মারওয়ান ইসা, যিনি সাত অক্টোবরের জঙ্গি হানার পরিকল্পনা করেছিলেন, গত সপ্তাহে নিহত হয়েছেন।

আমেরিকান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বলেছেন যে হামাস কমান্ডার মারওয়ান ইসা, যিনি বেশ কয়েকটি হত্যার পরিকল্পনার পাশাপাশি সাত অক্টোবর হামাস হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, গত সপ্তাহে ইজরায়েলের হাতে নিহত হয়েছেন। ইসা আবারও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে খবর। শত্রুর হাত থেকে পালিয়ে বেরাতেন ইসা, অনেক সহজেই। তাই তাঁর ডাকনাম ছিল ‘ছায়া মানব’, নিজের দক্ষতার জন্য গ্রুপের ৩ নম্বরে উঠে এসেছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে মোস্ট ওয়ান্টেডদের মধ্যে ছিলেন একজন ছিলেন ইসা, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় নিহত হওয়া হামাসের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা ছিলেন তিনি। আর এবার ইসার মৃত্যু হামাসের যুদ্ধের তীব্রতা তা কি কিছুটা কমবে, সেটাই দেখার। 

  • ইসার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য

আনুমানিক ৫৯ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন ইসা, ২০১২ সাল থেকেই হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের অধরা নেতা মোহাম্মদ দেইফের ডেপুটি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আরেক শীর্ষ কমান্ডার আহমেদ আল-জাবারির হত্যার পর ইসা এই ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ইসা হামাসের সামরিক কাউন্সিলে এবং গাজার রাজনৈতিক অফিসে উভয়েই কাজ করেছেন, গ্রুপের সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ইয়েহিয়া সিনওয়ারের তত্ত্বাবধানে।

ইজরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান তামির হায়মান বলেছেন, ইসা হামাসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তার উপ-সামরিক কমান্ডারও ছিলেন। ইজরায়েলের প্রাক্তন সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাইকেল মিলশটাইন বলেছেন, ইসার মৃত্যু একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা।

একই সময়ে ইজরায়েল মঙ্গলবার সিরিয়ার রাজধানীতে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।এদিকে, প্যালেস্তাইন উদ্বাস্তুতে ভরা রাফাহ শহরে সোমবার রাতে বিমান হামলা চালিয়েছিল তারা। এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪ জন। একই সময়ে, মঙ্গলবার ইজরায়েলি বাহিনী বলেছে যে সোমবার গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় গৃহীত পদক্ষেপে ইজরায়েল ৫০ জন বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে এবং ১৮০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে।

একইসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক মঙ্গলবার বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তার ওপর ইজরায়েলের নিষেধাজ্ঞা ঠিক নয়। তারা বলেছে যে হামাসের চারটি রাইফেল ব্যাটালিয়ন এবং রকেট তৈরির যোদ্ধাদের একটি বাহিনী রাফাতে রয়েছে। হামাসের এই শেষ দুর্গ ধ্বংস করেই হামাসের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু হামাসের এই পরিকল্পনা গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করেছে। কারণ, এটা ঘটলে গাজার বিপুল সংখ্যক মানুষ নির্বিচারে নিহত হবেন।