বঙ্গ–বিজেপির প্রার্থী তালিকা কবে প্রকাশ পাবে?‌ জানিয়ে দিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত

লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে। কিন্তু রাজ্য বিজেপি প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর বাংলার আর কোনও কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে পারেনি। তবে বাকি কেন্দ্রগুলির প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা তা নিয়ে বৈঠক করেছেন। এবার সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক বসলেই বিজেপির বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আসবে। এমন কথাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দু’একদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদীয় বোর্ডকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন। তার পরেই বাংলার বাকি আসনগুলির প্রার্থীর নাম ঘোষণার করবে বিজেপি।

কিন্তু একটা প্রার্থী তালিকা বের করতে এত সময় লাগছে কেন?‌ মাত্র ৪২টি কেন্দ্র। তার মধ্যে ১৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ২৩ জনের নাম প্রকাশ করতে এত সময় লাগছে কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন। সুকান্ত মজুমদার নয়াদিল্লি থেকে বাগডোগরায় নেমে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। ২২–২৩ তারিখ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেয়ে যাবে আশা করছি। র‌্যাম্পে হেঁটে প্রার্থী ঘোষণার নিয়ম আমাদের পার্টিতে চলে না। আমাদের পার্টিতে প্রথমে রাজ্যের শাখা বৈঠক করে। রাজ্য শাখার সর্বভারতীয় নেতারা আলোচনায় বসেন। আর একদম শেষে পার্লামেন্টারি বোর্ড বসে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন। এই বোর্ড বসলেই তালিকা বেরিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:‌ পুরোহিত সংবর্ধনার ব্যবস্থা করল তৃণমূল কংগ্রেস, মঙ্গলকোটে তুমুল রাজনৈতিক তরজা

তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করলেও তারা জনতার দরবারে গিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। আর তা নিয়ে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। সেখানে প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ পেতেই বিজেপির অন্দরে সমস্যা তৈরি হয়। আসানসোল থেকে সরে দাঁড়ান প্রার্থী পবন সিং। তা নিয়ে জোর আলোচনা হয় সর্বত্র। এরপরও সুকান্ত মজুমদারের দাবি, প্রার্থী তালিকা প্রকাশে কোনও দেরি হচ্ছে না। সঠিক সময়ে প্রচার শুরু করা হবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করা যাবে বলে মনে করছেন বালুরঘাটের সাংসদ। তবে সূত্রের খবর, প্রার্থী নিয়ে ঐক্যমত্যে আসতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। তাই দেরি হচ্ছে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ আসনে। এখানে বিজেপির প্রার্থী এখনও ঘোষণা হয়নি। তাই প্রচারে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। দার্জিলিং আসনে কে প্রার্থী হবেন?‌ তা নিয়ে লড়াই চলছে। রাজু বিস্তাকে প্রার্থী চেয়ে সরব হয়েছে দলের একাংশ। আর একটি গোষ্ঠী প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে প্রার্থী চাইছে। তা নিয়ে চলছে তুমুল মুষলপর্ব। জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ আসনে প্রার্থী হতে চাইছেন অনেকে। সেখানে রয়েছে বিস্তর যুক্তি। গোটা বিষয়টি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘দলের অন্দরে কোনও কোন্দল নেই। দাবিদার একাধিক থাকতেই পারেন। সেটা তো খারাপ কিছু নয়।’‌