Asansol: কাঁকসায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, নেপথ্যে পরকিয়া?

তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ সুদের কারবারির বিরুদ্ধে। পালটা অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে গাড়ি জ্বালিয়ে দিল জনতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কাঁকসার গোপালপুর এলাকা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। নিহত পবিত্র বিশ্বাসের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘তিনজনই চোর, এটা তো হওয়ারই ছিল’- বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ায় অবাক নয় গার্ডেনরিচ

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পবিত্র। তার পর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোর রাত ৩টে নাগাদ সুদের কারবারি শম্ভূ দাসের বাড়ির সামনে যুবকের দেহ দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবারের দাবি, চড়া সুদে টাকা ধার দেয় শম্ভূ। ঋণের কিস্তি না মেটানোয় সে-ই খুন করেছে পবিত্রকে। এই অভিযোগে শম্ভূর বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি। তবে ততক্ষণে পালিয়েছে অভিযুক্ত।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় তারা।

আরও পড়ুন: বাংলার হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপের ভাই স্বরূপের বাড়িতে আয়কর হানা, ভোর থেকে তল্লাশি

ওদিকে শম্ভূর পরিবারের দাবি, শম্ভূর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল পবিত্রর। বুধবার রাতে শম্ভূ বাড়ি ফিরে দেখে বৈঠকখানা ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে বসে রয়েছে পবিত্র। এর পরই পবিত্রর ওপর হামলা চালান তিনি। নিহত তৃণমূলকর্মীর মামা জানিয়েছেন, আমাকে ফোন করে বলেছিল ‘মামা আমাকে বাঁচাও’। তার পর থেকে ওকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভোর রাতে শম্ভূর বাড়ির সামনে ওকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করি। শম্ভূই ওকে খুন করেছে।