Humayun Kabir: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়েই ভোট করব’ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ভোলবদল হুমায়ুনের

প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরের প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি সরাসরি তৃণমূল নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। অবশেষে দলের বিদ্রোহী বিধায়কের মান ভাঙালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ইউসুফের হয়ে ভোট করাবেন বলেই জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর।

আরও পড়ুনঃ ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠক, মান কি ভাঙল? ইঙ্গিত দিলেন না হুমায়ুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমায়ুন কবীর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন, সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি গত ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত দলের মনোনীত প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের বিরোধিতা করেছিলাম। দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে গিয়ে অনেকটা সরে গিয়েছিলাম। তবে এখন দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই আস্থা রাখছি।’

অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘১৯ মার্চ ক্যামাক স্ট্রিটে দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পর আমি আমার নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা মেনে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীর উপর আস্থা রাখছি। ইউসুফ পাঠানকে সমর্থন করছি।’

এরপরই তিনি ইউসুফকে ভোট দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মাধ্যমে মানুষকে আবেদন জানান। শুধু তাই নয়, ইউসুফের হয়ে প্রচার করবেন বলেও জানিয়েছেন। হুমায়ুন জানান, দুদিনের জন্য তিনি দিল্লি যাবেন। এরপর দিল্লি থেকে ফিরে আগামী রবিবার থেকে ইউসুফের হয়ে প্রচার করবেন। তিনি বলেন, ‘ইউসুফকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে আবেদন জানাবো। ঘরে ঘরে যাব। দল তাঁকে প্রার্থী করেছে। আমি এই দলের বিধায়ক। তাই তাঁর হয়ে প্রচার চালাবো।’ তিনি আরও জানান, দলের নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় আচমকা বিধায়কের সুর বদল নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। 

উল্লেখ্য, শুধু ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে দলের বিরোধিতা করেননি হুমায়ুন কবীর। আগেও দলের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তবে লোকসভা ভোটের আগে বিধায়কের প্রার্থী নিয়ে বিরোধিতা করার জেরে তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে। এমন অবস্থায় হুমায়ুনের ভোলবদলের ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তৃণমূলে।