Firhad Hakim: অবৈধ নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন মেয়র

গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরে শহরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভা।  এ নিয়ে বারবার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অভিযোগ উঠেছে, গার্ডেনরিচ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে আজহারমোল্লা বাগানে ৫ ফুট জায়গার মধ্যে একটি পাঁচ তলা বাড়ি দেখা গিয়েছে। এনিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন ফিরহাদ।

আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল গার্ডেনরিচের ‘সরু বাড়ি’ কার? এখনও জানে না কলকাতা পুরসভা!

গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের দিকে বারবার দায় ঠেলে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র। এমনকী বুধবার বৈঠকে রীতিমতো ইঞ্জিনিয়ারদের ভর্ৎসনা করেন মেয়র। তিনি এক ইঞ্জিনিয়ারকে ‘চোর’, ‘অপদার্থ’ বলে মন্তব্য করেন মেয়র। তাতে ক্ষুব্ধ ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক মদত ছাড়া কোনওভাবেই কোনও বেআইনি নির্মাণ হওয়া সম্ভব নয়। কোনও অনুষ্ঠান বা কাজ এলাকার কাউন্সিলরদের না জানিয়ে হয় না। অথচ বারবার সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা তাপস রায় বলেছেন, বেআইনি নির্মাণ হল কলকাতার একমাত্র শিল্প। মেয়রের অবিলম্বে সরে যাওয়া উচিত না হলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। সেখানে তাঁকে ৫ ফুটের মধ্যেই তৈরি হওয়া বেআইনি বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি জানান, সেখানে কি করে বাড়ি হল সেটা তাঁর জানা নেই। তিনি আইন নিয়ে বসে থাকেন না যে সব কিছু তার কাছে যাবে। এই অবস্থায় কলকাতা জেলা আরএসপি’ও মেয়রের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে সেখানে উদ্ধারকাজ শেষ করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তা নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। এর পাশাপাশি লাল বাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা তদন্ত করেন। ওই জায়গাটির অন্যান্য মালিকদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে বাড়ির মালিক মহম্মদ সরফরাজের নির্মাণ চুক্তি হয়েছিল। জমির দামের পাশাপাশি সরফরাজকে কয়েকটি ফ্ল্যাট দেওয়ারও কথা হয়েছিল।