Firhad Hakim: কী করে হয়েছে আমি কী ভাবে জানব? বেআইনি নির্মাণের দায় অস্বীকার করে বললেন ফিরহাদ

কলকাতার গার্ডেনরিচে নির্মিয়মান বেআইনি ভবন ভেঙে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে দিকে দিকে। এমনকী শাকদলের নেতাদের একাংশও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে। ঘটনার পর ৪ দিন কাটলেও এখনও একজনের দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। ওদিকে আদালতেও ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুরসভা। চার দিক থেকে সমালোচনার পরেও গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের কোনও দায় নিতে নারাজ রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কী ভাবে হল আমি কী করে জানব?’

আরও পড়ুন: কোনও কেউকেটার কাছে মাথা নত করবেন না, ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকে বললেন ফিরহাদ

এদিন সাংবাদিকরা ফিরহাদকে প্রশ্ন করেন, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও এই বিপর্ষয়ের জন্য পুরসভাকে দায়ী করেছেন। শুনেই ফিরহাদ বলেন, ‘যে যা বলে বলুক এটা নিয়ে আমি এখন আর কিছু বলব না। এখানে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষের পাশে সেদিন রাত্তির থেকে আমি ছিলাম। আর মানুষের পাশে থাকতে হবে। এটাই মূল কাজ’।

এর পরই গার্ডেনরিচের আজাহার মোল্লা বাগানে ভাইরাল হওয়া বহুতল কী ভাবে তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন করে সাংবাদিকরা। তার জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘আমি কী করে জানব? আমি এখন উদ্ধারকাছে আছি। সেইটাই করব। আইন হাতে নিয়ে বসে নেই যে সব আমার কাছে আছে’।

আরও পড়ুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস তো জিন্দা হ্যায় না’? অভিষেকের রক্ষাকবচ নিয়ে বললেন শুভেন্দু

এর আগে গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণকে সামাজিক ব্যধি বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেছিলেন, ‘গার্ডেনরিচে কেন এরকম হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। এটা হচ্ছিল আমি জানতে পারিনি। আগে এটা অজুহাত দেওয়া হত তার পরেও এটা হচ্ছে। এটা একটা সামাজিক ব্যধি হয়ে গিয়েছে। কাউন্সিলর নয়, এটা দেখার কথা বিল্ডিং বিভাগের। কাউন্সিলরকে আমি ছেড়েই দিলাম। বিল্ডিং বিভাগের যারা আধিকারিক, যারা মাইনে পায় তাদের দেখার কথা। ২১ সাল ২৩ সাল থেকে আমি বারবার সাবধান করেছি, বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করুন। কিন্তু সব তো সম্ভব হয় না। ভিত তৈরির সময়ই বন্ধ করুন। আমি মেয়র থাকাকালীন ৮০০র বেশি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। গার্ডেনরিচেই ২৫টার বেশি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। এটা একটা এমন সামাজিক ব্যধি যেটা আমি দূর করতে পারছি না। কিন্তু চেষ্টা করে যাব।

মেয়রের মন্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, মেয়র একথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ মেয়র যে কথা বলতে পারছেন না যে, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরদের প্ররোচনায় বেআইনি নির্মাণ হয়।